রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের হওয়া গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিন জনের মধ্যে সবার সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর। সে সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে চান। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন?’

সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়। সেখানে অনেকটা স্বাভাবিক ছিলেন শাহজাহান ওমর। আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করেন তিনি। আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান, তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না। তবে, অনেকটাই নীরব ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং আছাদুজ্জামান মিয়া। তারা আসামির কাঠগড়ায় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

৯টা ৩৮মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সে সময় ছবি তোলার বিষয়ে কী বলেছিলেন জানতে চাইলে হাস্যোজ্জ্বল শাহজাহান ওমর বলেন, ‘‘আরে বাবা, তোমাদের কাজই হলো ফটো তোলা। ফটো তোলো। আমাদের আপত্তি নাই।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর সুদিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কিশোরগঞ্জের আদালতের চিত্র পাল্টে গেছে। পিপি, জিপিসহ সব আইন কর্মকর্তার পদ এখন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাত থেকে চলে গেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাতে। নতুন নতুন মামলাও পাচ্ছেন  বিএনপির আইনজীবীরা।
জানা গেছে, দেশে প্রতিবার সরকার পরিবর্তনের পর স্বাভাবিক নিয়মেই সরকারি আইন কর্মকর্তাদেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বিএনপির আইনজীবীদের এখন ক্ষমতা বেশি। প্রতিটি আদালতে তাদের কিছু বাড়তি প্রভাব রয়েছে। যে কারণে বিএনপির আইনজীবীদের কাছে মামলা যাচ্ছে বেশি। এমনকি কিছু পুরোনো মামলাও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাত থেকে মক্কেলরা নিয়ে গিয়ে বিএনপির আইনজীবীদের দিচ্ছেন। এমনকি বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা মামলায় আসামি হওয়া আওয়ামী পরিবারের ব্যক্তিরাও এখন সহজে জামিনের আশায় যাচ্ছেন বিএনপির আইনজীবীদের কাছে। 
আওয়ামী ও বিএনপি বলয়ের বাইরে থাকা সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদালতপাড়ায় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ আইনজীবীদেরও দুর্দিন যাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, ফৌজদারি মামলার মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর মামলা হচ্ছে হত্যা মামলা। হত্যা মামলায় সাধারণত আসামিপক্ষ মোটা টাকার বিনিময়ে সবসময় জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের  রাখার চেষ্টা করেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের হাত থেকে বেশ কিছু পুরোনো হত্যা মামলা মক্কেলরা নিয়ে গেছেন। এসব মামলায় এখন শুনানি করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। অনেক মামলার আসামিরা এখন আওয়ামী বলয়ের আইনজীবীদের কাছে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতার ভাষ্য, আসামিপক্ষের লোকজনের  ধারণা, আওয়ামী আইনজীবীরা এখন একটা বদনামের মধ্যে আছেন। আদালতে জোর গলায় শুনানি করতে পারেন না। অন্যদিকে বিএনপির আইনজীবীরা সাহস নিয়ে শুনানি করতে পারেন বলে তারা মনে করেন। সে কারণেও তারা বিএনপির আইনজীবীদের কাছে আসেন।
এদিকে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জালাল উদ্দিন জানান, সরকারি আইন কর্মকর্তাদের পদগুলো মূলত রাজনৈতিক পদ। ফলে সরকার বদলের পর এসব পদে স্বভাবতই বদল ঘটে থাকে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আসামিদের বিএনপির আইনজীবীরা মামলায় সহায়তা দিচ্ছেন বলে এক ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আইন কর্মকর্তারা কখনও আসামিপক্ষে শুনানি করতে পারেন না। তারা সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। কিন্তু বিএনপির যারা আইন কর্মকর্তা হননি, তাদের কেউ কেউ পেশাগত কারণে এসব মামলা পরিচালনা করছেন। এটা আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় নয়। কারণ আইনজীবীরা একটি পেশায় আছেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর কবলে আইনজীবী
  • আদালত প্রাঙ্গণে ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, চিন্তা করবেন না
  • চকবাজার থানার মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন
  • ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, আপনারা চিন্তা করবেন না
  • গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা বাতিল
  • অন্তর্বর্তী পরিষদ পুনর্গঠন প্রশ্নে রুল, দুজন সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনা স্থগিত
  • কুষ্টিয়ার আদালতে হাস্যোজ্জ্বল ইনু, আইনজীবীদের বললেন ‘কোনো চিন্তা কইরেন না’
  • মাগুরার সেই শিশুটির জন্য আইনি সহায়তায় বিএনপির আইনজীবী প্যানেল
  • বিচারালয়ের দুর্নীতি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের
  • বিএনপিপন্থি আইনজীবীর সুদিন