উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট খাতের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখেছেন সংগঠনটির মালিক ও শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রল পাম্প মালিকরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি তেল না পাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল এখন মোটরসাইকেল চালাতে পারছেন।
রাজশাহী নগরীর পাম্পগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্পে তেল নিতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ছেন বিপাকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিলকে একাধিকবার মোবাইলে কর করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এনজে
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরাঞ্চলে পেট্রলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে চালকেরা
দুটি পেট্রলপাম্পের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রলপাম্পগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে এ ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকাগুলোর যানবাহনের চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিভাগ। গতকাল সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান ও রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিলের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বলা হয়, গতকাল বগুড়ার আদমদীঘি থানা এলাকায় দুটি ফিলিং স্টেশনে কোনো ঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া ছাড়াই হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালায় নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এ অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রলপাম্পমালিক চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়মকানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে এলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল বলেন, আদমদীঘিতে ‘হামিম ফিলিং স্টেশন’ ও ‘আনিকা ফিলিং স্টেশনের’ সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নর্দমা খনন করেছে। এতে পাম্পের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়নি। আনিকা ফিলিং স্টেশনটি তাঁর মালিকানাধীন।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা। অনেকেই ছুটছেন খোলা পেট্রলের খোঁজে। রাজশাহী নগরের কাজলা এলাকায় নয়ন পেট্রোলিয়াম এজেন্সি থেকে তেল না পেয়ে ফিরে যান আবদুল জব্বার। উপহাস করে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সেই নওগাঁয় কোথায় কি না হয়েছে, এর জন্য সারা উত্তরবঙ্গে পাম্প বন্ধ রেখেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ ঐক্য আছে বলা যায়।’
ওই ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার মো. মুকিদ বলেন, রাতের দিকে তাঁরা নোটিশ পেয়েছেন। অনেকে খবর পেয়ে রাতেই পেট্রলপাম্পে ভিড় করেন। কিন্তু সকালে অনেকেই ফিরে গেছেন। তাঁদের কিছুই করার নেই। এ সিদ্ধান্ত মেনে সবাই ধর্মঘট পালন করছেন। যখন ধর্মঘট তোলা হবে, তখনই বিক্রি শুরু হবে।
নগরের কুমারপাড়া গুল গফুর পেট্রোলিয়াম ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেল ঠেলতে ঠেলতে আসেন তারিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আধা কিলোমিটার আগে তেল শেষ হয়ে গেছে। গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। এখন আবার গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে খোলা পেট্রল কোথায় বিক্রি হচ্ছে, তা খুঁজতে হবে।