দ্বিতীয় ধাপের মোনাজাত আজ দুপুর ১২টার পর, ইজতেমার মাঠে যাচ্ছেন মুসল্লিরা
Published: 5th, February 2025 GMT
তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ বুধবার দুপুর ১২টার পর যেকোনো সময় হওয়ার কথা আছে। এ উপলক্ষে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠে জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। এ ধাপেও মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জোবায়ের।
এর আগে আজ ফজরের নামাজের পর ভারতের শীর্ষ মুরব্বি মো.
গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারও দোয়া পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়ের। প্রথম ধাপের মতো এ ধাপেও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা মাঠে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মুসল্লি।’
আজ সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠের বিশাল শামিয়ানার নিচে অবস্থান করছেন তাবলিগ জামাতের হাজারো মুসল্লি। শুধু ২২ জেলা ও ঢাকার একটি অংশের মুসল্লিরা অংশ নেওয়ায় মাঠের বিভিন্ন অংশ এখনো ফাঁকা। এর মধ্যে মাঠসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া-টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক এবং ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের প্রচুর মানুষের চলাচল দেখা যায়। অনেকেই মোনাজাতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন ইজতেমা মাঠের দিকে।
এবারই প্রথম দুই ধাপে ইজতেমা পালন করছেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এর মধ্যে গত সোমবার জোহরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমার কার্যক্রম। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন ২২ জেলা ও ঢাকার একাংশ। এর আগে গত শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের ইজতেমা। ওই ধাপে অংশ নিয়েছিলেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একটি অংশ। এরপর তৃতীয় ধাপে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা আছে।
আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইজতেমায় আসা আরও দুই মুসল্লির মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ইজতেমার গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। এই দুজন হলেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকার সুজাবত আলী (৭৫) এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এলাকার মো. শামসুল আলম (৬০)। তাঁরা দুজনেই গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে বার্ধক্যের কারণে মারা গেছেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের দুই ধাপের ইজতেমায় মৃত মানুষের সংখ্যা হলো ৯।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ প র ইজত ম দ প র ১২ট ইজত ম র ১২ট র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৭ ছক্কায় ইয়াসিরের ১৪৩, জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় ব্রাদার্সের
ইয়াসির আলীর ব্যাটে বড় রান পায় ধানমন্ডি ক্লাব। এরপর তারা হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।মাহফিজুল-মিজানুর জুটিতে ব্রাদার্স
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। তবে এই স্কোরটাকেও একদম সহজ বানিয়ে ফেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরে যান ব্রাদার্সের ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর ২৫০ রানের জুটি গড়েন মাহফিজুল ও মিজানুর। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৯ বলে ১৩৬ রান করে মিজানুর রিটায়ার্ড হার্ট হলে এই জুটি ভাঙে।
১২৭ বলে ১১৩ রান করা মাহফিজুল বোল্ড হন রহিম আহমেদের বলে। শাইনপুকুর হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯৬ বলে ৯৫ রানও করেন এই রহিমই। ৭ বল আগেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় ব্রাদার্স।
গাজী গ্রুপের জয়আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যাওয়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে। ভালো শুরুর পরও অগ্রণী ব্যাংককে ২১৬ রানে অলআউট করে তারা। এরপর দলটি জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে।
শুরুতে ব্যাট করতে নামা অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার ব্যর্থ হওয়ার পর হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও অমিত হাসান। ৬১ বলে ৫০ রান করে ইমরুল ও ১১১ বলে ৮৯ রান করে অমিত ফিরে গেলে পরের ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। গাজী গ্রুপের আবদুল গাফফার তিন এবং তোফায়েল আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে ৪ বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান গাজী গ্রুপের ওপেনার এনামুল হক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ডাক মেরে ফেরার পর দলকে টেনে নেন সাদিকুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ।
৬৪ বলে ৫২ রান করে রবিউল হকের বলে তোফায়েল ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভেঙে যায়। সাদিকুরও অবশ্য সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি, রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। এরপর দলকে টানেন শামসুর রহমান, ৭৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য গাজী গ্রুপের দরকার কেবল ৮ রান।
ইয়াসিরের সর্বোচ্চ ইনিংস১২১ বলের ইনিংসে ৭ চার ও সমান ছক্কায় ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতকের দিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করে ফেলেছেন তিনি। তাঁর এমন দুর্দান্ত ইনিংসের সঙ্গে মঈন খানের ৬৩ বলে ৬২ ও জিয়াউর রহমানের ১৮ বলে ৪০ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ধানমন্ডি ক্লাব।
বড় রান তাড়ায় নেমে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এরপর অবশ্য সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন মিলে দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ১৭২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
তবে সাইফ হাসান ১১২ বলে ৯৫ ও আফিফ হোসেন ৯৬ বলে ৯৮ রানে আউট হলে দলের বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। রেজাউর রহমানের ৩৯ বলে ৪৯ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রানে থামে রূপগঞ্জ।