গাজীপুরের কালীগঞ্জে সবজিবাহী একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পানিতে পড়ে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে জয়দেবপুর-ইটাখোলা সড়কের নোয়াপাড়া মৈশাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ৩ জনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী থেকে শসা বোঝাই করে একটি পিকআপ জয়দেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। কালীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া মৈশাইর এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশাকে পাশ কাটানোর সময় পিকআপের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। পিকআপটি সড়কের পাশে প্রায় ১৫ ফুট গভীর একটি খাদে পানিতে পড়ে যায়। চালকসহ তিনজন সেখান থেকে বের হতে পারেননি। ঘটনাস্থলে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সবজিবাহী একটি পিকআপ খাদে পড়ে গেলে তিনজন পানির নিচে আটকে পড়েন। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন চালক। একজন চালকের সহযোগী এবং একজন সবজি ব্যবসায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প কআপ ত নজন

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাইগ্রেন’ কি ভয়াবহ কোনো রোগ?

চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশ্বের অনেক মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন মাইগ্রেন সারিয়ে তোলা যায় না। তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে করণীয় কী?

ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ ঘোষ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ মাইগ্রেনের ব্যথা টিপিক্যালি মাথার একদিকে হয়। হয়তো ডানে, নয়তো বামে। পরে ছড়াতে পারে। ব্যথা বেড়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু শুরু হয় একদিক থেকে। দপ-দপ করে। কারও কাছে মনে হতে পারে, কেউ মাথা পেটাচ্ছে। কেউ বলে মাথার ভেতর থেকে ফেটে বেরোচ্ছে। উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। আওয়াজে কষ্ট হয়। রোগী ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকতে চায়। অনেকের বমি আসে। দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়। অনেক সময় মনে হয় টেবিলে মাথা হেলিয়ে শুয়ে থাকি। বা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছা হয়। এগুলো টিপিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ।

এই নিউরোলজিস্ট আরও বলেন, ‘‘মাইগ্রেন ভয়াবহ কোনো রোগ নয়। এটি সারিয়ে তোলা যায় না কিন্তু কমিয়ে রাখা যায়। অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা ঘন ঘন হতে পারে। আবার এক মাসে একবার নাও হতে পারে। বিশ্বের প্রতি পাঁচ জন নারী ও শিশুর মধ্যে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রত্যেক দশ জনে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বের প্রায় এক শতাংশ মানুষ প্রত্যেক মাসে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ’’

আরো পড়ুন:

কীভাবে বুঝবেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্টের ব্যথা

ঘুম কম হয় কেন?

ডা. অমিতাভ জানান, যাদের ঘন ঘন ব্যথা হয় তাদের ওষুধ দেই যাতে ব্যথা কমিয়ে রাখা যায়। যাদের মাসে একবার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের নরমাল পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যদি ব্যথার মাত্রা বেশি থাকে তাহলে স্ক্যান করা লাগতে পারে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
  • রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ইয়াংওয়ানের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে
  • দিনাজপুরের বনতাড়া গ্রামে ৭ দিন আতঙ্কের পর এল সম্প্রীতির বার্তা
  • নেত্রকোনায় কৃষক আনোয়ারুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
  • ‘ও খোদা, এই ট্রাক দি আঁই কিরমু’
  • চলন্ত ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণের পর রিংয়ের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হলো পথচারীর পা
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লরিচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
  • মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’, মুখ খুললেন জন আব্রাহাম
  • ‘গায়ে আগুন লাগার পর তা নেভাতে আমি পশুর মতো এদিক-ওদিক ছুটছিলাম’
  • ‘মাইগ্রেন’ কি ভয়াবহ কোনো রোগ?