ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড দখলে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা দখল করে নেবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। তবে তার আগে সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের ‘অন্য কোথাও’ সরিয়ে নেওয়া হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওয়াশিংটন সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সম্মেলনে এমন পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করল চীন

মোদিকে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করব (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।”

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন: “যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।”

তিনি বলেন, “আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।”

ট্রাম্প আরো বলেছে, তিনি গাজা স্ট্রিপের “দীর্ঘমেয়াদী মালিক” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন।

গাজাবাসীদের মধ্যপ্রাচ্যের এক বা একাধিক দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাইছি যে, তারা সেখানে আছে কারণ তাদের কোনো বিকল্প নেই। তাদের কী আছে? এটি এখন ধ্বংসস্তূপের একটি বিশাল স্তূপ।

এর মানে কী তিনি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত অবসানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেন না, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “এর অর্থ দ্বি-রাষ্ট্র, এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের কোনো অর্থ নেই। এর অর্থ হল, আমরা মানুষকে জীবনের সুযোগ দিতে চাই।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশটির মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই তীব্র বিরোধিতার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের অবস্থান ছিল, গাজা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হবে, যার মধ্যে পশ্চিম তীরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ল করব

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে ধর্ষকদের ৪০ দিনের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

ধর্ষকদের ৪০ দিনের মধ্যে ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।

রোববার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’, ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া, আছিয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’— এসব স্লোগানে চারপাশ মুখর করে তোলে। বক্তারা ধর্ষকদের ৪০ দিনের মধ্যে ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ধর্ষকদের এ দেশে ঠাঁই হবে না।

আরো পড়ুন:

মাগুরার শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় ৪ আসামির রিমান্ডের আবেদন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রামের সড়কে টেম্পু চালকদের বিক্ষোভ

সমাবেশে বক্তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন ছাত্র প্রতিনিধি সাগরুল ইসলাম, নাছিমা আকতার পিংকি, জিনিয়া শারমিন রিয়া, জুনায়েদ হোসাইন প্রমুখ।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ