জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থী থাকলে শর্ত সাপেক্ষে তাঁরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট প্রাপ্য হবেন।

আরও পড়ুনব্রুনেই ওআইসি শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি, আবেদনের সময় বৃদ্ধি ১১ দিন০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পেতে প্রতিবন্ধী দাবীদার শিক্ষার্থীদের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দুই দিন আগে অধ্যক্ষ/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবন্ধীদের তথ্য (প্রবেশপত্র ও প্রতিবন্ধী সনদের কপি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/সংশ্লিষ্ট উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণ করবেন। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পৃথকভাবে সীলগালা করে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪ এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে বলা হয়েছে। প্যাকেটের ওপর প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র লাল কালিতে লিখতে হবে মর্মেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনটেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে আসন বৃদ্ধিসহ যে যে পরিবর্তন এল০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক আবেদন শেষ ৫ ফেব্রুয়ারি, ইউনিট প্রতি সুযোগ ৯২ হাজার২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ক ত ৩০ ম ন ট পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি হিসাবের সঙ্গে আর্থিক হিসাবও ইতিবাচক ধারায় ফিরল

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতির সব কটি সূচকই ছিল নড়বড়ে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে, পণ্য রপ্তানি সাময়িকভাবে হোঁচট খেলেও পরে ঘুরে দাঁড়ায়। অন্যদিকে আমদানিতে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। সেগুলো হচ্ছে চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাব।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বরে চলতি হিসাবে যেখানে ঘাটতি ছিল ১৯ কোটি মার্কিন ডলার, সেখানে ডিসেম্বরের শেষে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল ৫৬ কোটি ডলার। ডিসেম্বরের শেষে সেটি ১৩৮ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফেরার পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি কমে ৯৭৬ কোটি ডলারে নামে। এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৮৮ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চলতি হিসাবের পাশাপাশি আর্থিক হিসাব উদ্বৃত্ত হয়েছে। মূল্যস্ফীতিও কমে এসেছে। ফলে অর্থনীতির শুভযাত্রা শুরু হয়েছে। সামনে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৬৬১ কোটি ডলারের বড় ঘাটতি নিয়ে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হয়েছিল। তার আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল আরও বেশি, যা পরিমাণে ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। তবে বর্তমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর এক মাস আগেও হিসাবটিতে ঘাটতি ছিল।

সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষে আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৪৫৪ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছর উদ্বৃত্ত ছিল ৬৮৯ কোটি ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর আর্থিক হিসাব ঘাটতি নিয়ে শুরু হয়। তবে অর্থবছরের প্রথমার্ধ শেষে আর্থিক হিসাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে উদ্বৃত্ত হয়েছে ১৩৮ কোটি ডলার।

দেশে আন্তর্জাতিক সম্পদের মালিকানা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টি পরিমাপ করা হয় আর্থিক হিসাবের মাধ্যমে। সাধারণত এই হিসাবে ঘাটতি তৈরি হলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। ডলার-সংকট তীব্র হয়ে ওঠায় দেড় দশকের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো এ হিসাবে ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতিও কিছুটা কমেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ৩৮ কোটি ডলার, যা তার আগের মাসে ছিল ২৪৭ কোটি ডলার। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঠাগারটিতে বই নেই, যান না পাঠকেরাও
  • চলতি হিসাবের সঙ্গে আর্থিক হিসাবও ইতিবাচক ধারায় ফিরল
  • দলবদলে লা লিগা–বুন্দেসলিগা–সৌদি প্রো লিগের চেয়েও বেশি খরচ করেছে ম্যান সিটি
  • জেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি
  • ‘ঘুষের লেনদেন’ নিয়ে বিরোধ, ববিতে কর্মকর্তাকে জুতাপেটা কর্মচারীর
  • লায়লাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু
  • লায়লার মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু 
  • নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, প্রতীক ফুলকপি