আজও শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। গতকাল তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আজ যেসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো হলো— এশিয়াটিক ল্যাব, আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি, এসআইসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও বিবিএস। এর মধ্যে বিবিএস জেড ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে, বাকি কোম্পানিগুলো জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে এশিয়াটিক ল্যাব ‘এ’ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এসআইসিএল এন ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। এ ছাড়া আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি ও ওরিয়ন ফার্মা এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। যেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে, তারা মূলত সময়মতো লভ্যাংশ বিতরণ না করায় জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে এবং আর্থিক বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হবে।

যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে, কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেবে, তাদের বি শ্রেণিতে রাখা হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এন শ্রেণি এবং গ্রিনফিল্ড কোম্পানি তথা যেসব কোম্পানি উৎপাদনে আসার আগে তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলোকে জি শ্রেণিভুক্ত করা হবে। আর যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে না, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, টানা ছয় মাসের বেশি যাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে, সেসব কোম্পানি হবে জেড শ্রেণিভুক্ত।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য এই শ্রেণিবিভাজন তৈরির পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করেছিল। প্রথম কারণটি ছিল, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ কোম্পানি বাছাইয়ে সহায়তা করা। দ্বিতীয় কারণটি হলো, শেয়ারের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই।

শেয়ারবাজারের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ, বি, এন ও জি শ্রেণিভুক্ত শেয়ারে ঋণসুবিধা দেওয়া হয়। তবে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শুধু এসব শ্রেণিভুক্ত হলেই ঋণ পাওয়া যায় না। আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও হতে হবে ৪০-এর নিচে। আর নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও শ্রেণিবদলের ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ঋণসুবিধা বন্ধ থাকবে।

আজ বুধবার থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য সব ক ম প ন

এছাড়াও পড়ুন:

আজও শেয়ারবাজারের ছয় কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন

আজও শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। গতকাল তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আজ যেসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো হলো— এশিয়াটিক ল্যাব, আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি, এসআইসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও বিবিএস। এর মধ্যে বিবিএস জেড ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে, বাকি কোম্পানিগুলো জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে এশিয়াটিক ল্যাব ‘এ’ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এসআইসিএল এন ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। এ ছাড়া আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি ও ওরিয়ন ফার্মা এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। যেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে, তারা মূলত সময়মতো লভ্যাংশ বিতরণ না করায় জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে এবং আর্থিক বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হবে।

যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে, কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেবে, তাদের বি শ্রেণিতে রাখা হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এন শ্রেণি এবং গ্রিনফিল্ড কোম্পানি তথা যেসব কোম্পানি উৎপাদনে আসার আগে তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলোকে জি শ্রেণিভুক্ত করা হবে। আর যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে না, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, টানা ছয় মাসের বেশি যাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে, সেসব কোম্পানি হবে জেড শ্রেণিভুক্ত।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য এই শ্রেণিবিভাজন তৈরির পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করেছিল। প্রথম কারণটি ছিল, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ কোম্পানি বাছাইয়ে সহায়তা করা। দ্বিতীয় কারণটি হলো, শেয়ারের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই।

শেয়ারবাজারের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ, বি, এন ও জি শ্রেণিভুক্ত শেয়ারে ঋণসুবিধা দেওয়া হয়। তবে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শুধু এসব শ্রেণিভুক্ত হলেই ঋণ পাওয়া যায় না। আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও হতে হবে ৪০-এর নিচে। আর নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও শ্রেণিবদলের ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ঋণসুবিধা বন্ধ থাকবে।

আজ বুধবার থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ