নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
Published: 5th, February 2025 GMT
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ভাগনের লাঠির আঘাতে মামার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই দিন বিকেলে উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামে তাঁদের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটে।
নিহত মামার নাম কাঞ্চন মিয়া (৬২)। তিনি পোড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক। আর ভাগনের নাম মাজহারুল ইসলাম (২৩)। তিনি পেশায় ইজিবাইকচালক।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাজহারুল ইসলাম কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মা মাজেদা খাতুনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ চলছিল। মাজহারুলও তাঁর স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাজহারুলের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া বাধে। এ সময় মাজহারুল মাকে মারধর করেন। মাজহারুলের মা কাঁদতে কাঁদতে একই গ্রামে তাঁর ভাই কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান। এ সময় কাঞ্চন মিয়া তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বাড়িতে এসে ভাগনে মাজহারুলকে শাসন করেন। এতে মাজহারুল ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মামার মাথায় আঘাত করেন।
কাঞ্চন মিয়াকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্যানেল মেয়র ডন আবারও গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক ১নং প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডনকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার দুপুরে নগরীর পাটগুদাম এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসিফ হোসেন ডন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রেদোয়ান আহমেদ সাগরকে হত্যা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলার আসামি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পরে তার অবস্থান জানতে পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ডনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি আবারও পালিয়ে যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ডনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগুদাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।