সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য দেশে অসংখ্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক নদ–নদীর সর্বনাশও হয়েছে। সেতুর প্রস্থ ছোট করে নদ–নদী সংকুচিত করা হয়েছে, উচ্চতা কম রেখে নৌপথের ক্ষতি করা হয়েছে। আবার এমন ঘটনাও আছে, নদ–নদী খনন করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে সেতুও। সাতক্ষীরায় পাঁচটি সেতুর ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে। নদ খননের কাজ শেষ হলেও সেতুগুলো আর ঠিক করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকগুলো গ্রামের মানুষ। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মরিচ্চাপ নদের ওপর ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৯টি সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এসব সেতু এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে গতি সঞ্চার করেছিল। সেতুগুলো দিয়ে সাতক্ষীরা সদরের আশপাশের উপজেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ হয়েছিল।

ব্যবসা, বিশেষ করে মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড দুই বছর আগে মরিচ্চাপ নদ খনন করার পর সেতুগুলো ভেঙে পড়তে থাকে। খননের পর নদের প্রশস্ততা বেড়ে যাওয়ায় সেতুগুলো আর টেকেনি। কারণ, সেতুগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৬০ ফুট; কিন্তু নদ খনন করা করে প্রস্থ করা হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ ফুট।

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বক্তব্য, যখন সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন মরিচ্চাপ নদ ভরাট হয়ে প্রস্থ ছোট হয়ে গিয়েছিল। খনন করে প্রস্থ বেশি করায় নদের ওপর নির্মিত সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। এখন ১০০ ফুটের বেশি দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাঁদের নতুন সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেই। তা ছাড়া ৬০ ফুটের ওপর সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তাদের কাছে এসব স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এলজিইডির সাতক্ষীরা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, সেতুগুলো তাঁদের অধীন নয়। তারপরও প্রশাসন থেকে বলায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

গোটা বিষয়ে আমরা দেখছি, প্রথমে সেতুগুলো নির্মাণ করেছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এরপর নদ খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখন সেতুগুলো নির্মাণের প্রস্তাব যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। সেতুর শ্রেণিবিভাগ অনুসারে একেক সংস্থা একেক ধরনের সেতু নির্মাণ করে থাকে। কিন্তু সেতু নির্মাণ ও নদ খননে যে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই, তা বোঝাই যাচ্ছে। তাহলে শুরুতে নদ খননের কাজটি আগে হতো, এরপর সেতুগুলো নির্মিত হতো।

পাঁচটি সেতু ভেঙে পড়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ দুই লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা আশা করব, সেতুগুলো নির্মাণে এলজিইডি আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর র জন য র ওপর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ