দেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বাজে ঘটনা: সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী
Published: 5th, February 2025 GMT
সুইডেনের মধ্যাঞ্চলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, সুইডেনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বাজে ঘটনা।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিরপরাধ মানুষের ওপর এমন হামলা নৃশংস ও মারাত্মক।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ওরেব্রোর রিসবার্গস্কা স্কুলে হামলা হয়েছে তাতে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
ওরেব্রোরর পুলিশপ্রধান রবের্তো ইদ ফরেস্ট মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, হামলাকারী বন্দুকধারী ছিলেন একা এবং প্রাথমিক তদন্তে তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক আমরা পাইনি। আমাদের তদন্ত এগিয়ে চলছে এবং হামলাকারী সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি আমরা।
তিনি বলেন, এটা অনেক বড় একটি সহিংসতা। কী কারণে হামলাকারী এত বড় একটি সহিংসতা চালাল, তা এখনও অস্পষ্ট। তাই আপাতত আমরা তার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং তার পরিচিতজনদের সন্ধান করছি।
রাজধানী স্টকহোম থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত ওরেব্রো। যারা ছোটোবেলায় স্কুল-কলেজে যাননি বা ঝরে পড়েছিলেন, তাদের জন্য সুইডেনে বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হামলার শিকার রিসবার্গস্কা স্কুল নামের সেই প্রতিষ্ঠানটিও তেমনই একটি শিক্ষাকেন্দ্র।
স্কুলের শিক্ষক মারিয়া পেগাডো (৫৪) রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে খাবার বিরতির পর যখন তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন, সে সময় আচমকা তার শ্রেণিকক্ষের দরজা খুলে একজন বন্দুকধারী প্রবেশ করে এবং সবাইকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
তিনি বলেন, সে সময় শ্রেণিকক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সবাইকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে ছুটতে লাগলাম। সে সময় আমাদের লক্ষ্য করে দু’টি গুলি ছোড়া হয়েছিল কিন্তু সেগুলো কারও গায়ে লাগেনি। আমি যখন স্কুলের প্রবেশ দরজার কাছাকাছি গেলাম, তখন বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেলাম এবং বুঝলাম, হামলার মাত্রা বেশ বড় ছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩
গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানসহ তিনজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত ডিবি পুলিশের করা এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন- ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাজধানীর আদাবর থানাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রুবেল মারা যান।
এদিন শুনানিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিং রোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।