ফিলিস্তিনের গাজাকে নিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র, বললেন ট্রাম্প
Published: 5th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ বিস্ময়কর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
অবশ্য ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে তাঁর এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি। তিনি এমন পদক্ষেপ নিলে তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত কয়েক দশকের নীতি ভেঙে দেবে।
এ ঘোষণার মাত্র কয়েকদিন আগে ট্রাম্প গাজা নিয়ে দুঃখজনক আরেক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, উপত্যকাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পুনর্বাসন করা উচিত। সে সময় গাজাকে একটি ‘বিধ্বস্ত এলাকা’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই পানি শোধনাগার প্রকল্প ১০ বছর ধরে আটকা, প্রধান উপদেষ্টার বিস্ময়
‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের ফেজ-৩’ ও ‘মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা’ প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে রবিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্প দুটির কাজ ১০ বছর ধরে আটকে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রায় ১০ বছর ধরে আটকে আছে! অথচ ঢাকা শহরের মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। ভূ–গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে দিন দিন আমরা পরিবেশকে বিরাট হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। সংকট থেকে উত্তরণের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও সে কাজটা এত বছর ধরে করা হয়নি।’’
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রকল্প দুটি শুরু করতে কোথায় বাধা রয়েছে তা জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর পাশাপাশি খরচ কমানোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা শহরে মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে আসে। দীর্ঘদিন ধরে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতি বছর ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে; যা টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে।
এ সংকট মোকাবিলায় মেঘনা নদী থেকে সরবরাহকৃত পানি ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩) ’–এ পরিশোধন করে ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ‘মেঘনা নদী রক্ষা মহাপরিকল্পনা’ নেওয়া হয়।
জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রকল্পে সহায়তা করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বিদেশি সংস্থা ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যহত রাখবে এবং প্রয়োজনে সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ১০ বছর আগে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। পরিকল্পনার কাজটি সম্পন্ন হলেও বাস্তবায়নের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
ঢাকার পাশে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী দূষণের কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, বাংলাদেশের অন্য নদীগুলোও বিভিন্ন রকমের সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সরকারের অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘‘মেঘনা নদী নিয়ে অনেক উৎকণ্ঠা। এটাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করার সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তা না হলে এ এলাকার জনজীবন বাঁচানো যাবে না।’’
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অতি দ্রুত দাপ্তরিক কাজ শেষ করে চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর পাশাপাশি, নদী রক্ষা কমিশনকে কীভাবে আরো সক্রিয় করা যেতে পারে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও নদী রক্ষা কমিশনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ