দলবদল শুরুর আগে থেকেই এমন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, দলের ভাগ্য বদলাতে টাকার থলে নিয়ে খেলোয়াড় কিনতে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। বাস্তবেও হয়েছে তা-ই। ব্যর্থতা কাটাতে জানুয়ারিতে দেদার অর্থ খরচ করেছে ইতিহাদের ক্লাবটি। এমনকি প্রিমিয়ার লিগের বাকি ১৯ দল মিলে যত খরচ করেছে, সিটির খরচ তার প্রায় কাছাকাছি।

শীতকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো সব মিলিয়ে খরচ করেছে ৩৭ কোটি পাউন্ড। যেখানে ১৯ দলের খরচ ১৯ কোটি পাউন্ড এবং সিটির একার খরচ ১৮ কোটি পাউন্ড। শীতকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় খরুচে দল সিটি। সবার ওপরে চেলসি।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চেলসি খরচ করেছিল ২৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড। সামগ্রিকভাবে শীতকালীন দলবদলের মধ্যেও অবশ্য সেবারই সবচেয়ে খরচ করেছিল প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। ২০২৩ সালের শীতকালীন দলবদলে খরচ হয়েছিল রেকর্ড ৮১ কোটি ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।

আরও পড়ুনসেই অর্থের ছায়াতলেই সিটির ভাগ্য বদলাতে চাইছেন গার্দিওলা২৪ জানুয়ারি ২০২৫

খরচের দিক থেকে সিটি শুধু বাকি ক্লাবগুলোকেই টেক্কা দেয়নি; বরং অন্য লিগগুলোকেও পেছনে ফেলেছে। যেমন দলবদলে ফরাসি লিগের ক্লাবগুলো সবাই মিলে খরচ করেছে ১৭ কোটি পাউন্ড, যা সিটির চেয়ে এক কোটি পাউন্ড কম।

একইভাবে সৌদি লিগ ও বুন্দেসলিগার খরচ ১৪ কোটি পাউন্ড করে, যা সিটির চেয়ে ৪ কোটি পাউন্ড কম। আর লা লিগার দলগুলো তো সিটির ধারেকাছেও নেই। এবারের দলবদলে লা লিগার ক্লাবগুলো খরচ করেছে ২ কোটি পাউন্ড।

এবারের দলবদলে সিটির সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে কেনা খেলোয়াড় ওমর মারমুশ। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ৫ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডে এই মিসরীয় ফরোয়ার্ডকে কিনেছে সিটি। এরপর তারা দলবদল শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে নিকো গঞ্জালেসকে পোর্তো থেকে কিনেছে ৫ কোটি পাউন্ডে।

আর লাঁস থেকে আবদুলকোদির খুসানোভকে কিনতে সিটির খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ পাউন্ড। এ ছাড়া দলবদলে ব্রাজিলের পালমেইরাস থেকে সিটি নিয়ে এসেছে ভিতর রেইসকে। তাঁর পেছনে ক্লাবটির খরচ হয়েছিল ২ কোটি ৯৬ লাখ পাউন্ড।

আরও পড়ুন‘ট্যাংক’, ‘দ্য ট্রেন’, ‘দানব’—সিটিতে যোগ দেওয়া কে এই উজবেক ডিফেন্ডার ২১ জানুয়ারি ২০২৫প্রিমিয়ার লিগে খরচ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খরচ ক র খরচ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠন করবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ফলে, আগের নয় সদস্যের শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল বাতিল হতে যাচ্ছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মে বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেন। দেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ ইস্যু আনা, ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছিল বিএসইসি। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল) বিধিমালা, ২০২২ নামে গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।

শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের কাজ হলো— বিএসইসির চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়া, শরিয়াহ-সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন, ইসলামী শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটিজ শরিয়াহসম্মত কি না, সে বিষয়ে মতামত দেওয়া।

গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত বিএসইসি পুঁজিবাজারের জন্য গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত

বিএসইসির পক্ষ থেকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আলোচনা ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে কমিশনের ২০২৩ সালের ২৮ মে জারি করা আদেশের মধ্যেমে গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল বিলুপ্ত করা হবে। একইসঙ্গে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠন করা হবে।

কমিশন আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনের জন্য ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জারি করা আদেশের মাধ্যমে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ ইস্যু করতে এবং ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন করতে কমিশন শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজন মনে করছে। এজন্য নয় সদস্যের শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলের জন্য নির্বাচিত পাঁচ জন শরিয়াহ স্কলার হলেন—অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মুফতি শহীদ রাহমানী (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিকস বাংলাদেশ), মুফতি ইউসুফ সুলতান (ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, এডিএল অ্যাডভাইজরি, মালয়েশিয়া), মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান (ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি) এবং মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ (খতিব, সোবহানবাগ মসজিদ অ্যান্ড মাদ্রাসা কমপ্লেক্স)।

ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট চার সদস্য হলেন—অধ্যাপক আবু তালেব (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এক্সপার্ট), এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল (লিগ্যাল এক্সপার্ট), অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া (অ্যাকাউন্টিং এক্সপার্ট) এবং মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপার্ট)।

শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ নিয়ে আসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজে আগ্রহী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরো উৎসাহী হবেন।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাবিপ্রবির ভর্তি ফি নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা
  • নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠন করবে বিএসইসি
  • বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম, বড় বাধা পাঁচটি
  • মার্চে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি 
  • গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা 
  • খেলাপি ঋণ আদায়ে রেকর্ড
  • গরুর দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্ত্রী-সন্তান হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন
  • সহায়তা কাটছাঁটের প্রভাবে বাড়তে পারে মাতৃমৃত্যুর হার: জাতিসংঘ
  • ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের আপত্তি
  • গাজা থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা