দেশে বিদেশে ঘুরতে গেলে আবাসিক হোটেলে থাকতে হয়। বেড়াতে গিয়ে যদি লুকানো ক্যামেরার ভয়ে থাকতে হয় তাহলেতো ভ্রমণের আনন্দই মাটি। ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ শতাংশ মানুষ ঘুরতে গিয়ে হোটেল ও বাসায় লুকানো ক্যামেরা খুঁজেছেন। স্মার্টফোন দিয়েই পরীক্ষা করে নিতে পারেন লুকানো ক্যামেরা আছে কিনা।

এক.  হোটেল রুমের সব আলো বন্ধ করে দিয়ে স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশলাইটের আলো এয়ার ভেন্ট, ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র, ঘড়ি বা আয়নার মতো জায়গায় ফেলতে পারেন। আলোয় যদি ক্ষুদ্র কোনো প্রতিফলিত বস্তু দেখতে পান তাহলে অবশ্যই বস্তুটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।

দুই.

গোপন ক্যামেরা থেকে নির্গত অনেক বেশি লাল বা ইনফ্রারেড হয়ে থাকে। কক্ষের আলো নিভিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরা চালু করতে হবে। এরপর ক্যামেরা দিয়ে সন্দেহজনক স্থানগুলোর ছবি তুলতে হবে। ক্যামেরার স্ক্রিনে যদি ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু বা ঝলক দেখা যায়, তাহলে  ইনফ্রারেড আলোর উৎস হতে পারে। 

আরো পড়ুন:

নিজেই বানান ভিটামিন কে সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক

সঙ্গীর সঙ্গে মনোমালিন্য হলে করণীয়

তিন. স্মার্টফোনের জন্য তৈরি অ্যাপগুলো ইনফ্রারেড আলো, চৌম্বকক্ষেত্র এবং অস্বাভাবিক সংকেত শনাক্ত করতে পারে। এজন্য নির্ভরযোগ্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে রুমের সন্দেহজনক স্থান পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

চার. ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও কাজ করে অনেক গোপন ক্যামেরা। স্মার্টফোন দিয়ে রুমের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত গোপন যন্ত্র শনাক্ত করা সম্ভব। স্মার্টফোনের ওয়াই-ফাই সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রগুলোর তালিকা দেখে নিতে পারেন। তালিকায় যদি অপরিচিত বা সন্দেহজনক নামের ডিভাইস যেমন আইপি ক্যামেরা বা ক্যামেরা দেখা যায়, সেটি নিয়ে সতর্ক হোন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এমপি সাদেক খান ও স্ত্রী-ছেলের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি অ্যাকাউন্টের ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাদেক খানের ১৮টি, তার স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। 

সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ দশমিক ৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ প্রয়োজন।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের স্ত্রীর সম্পদের অবরুদ্ধ আবেদনে বলা হয়েছে, ফেরদৌসী খান অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। 

তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এমপি সাদেক খান ও স্ত্রী-ছেলের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ