নিষিদ্ধ প্রেম, অসম বিয়ে: উর্মিলার ক্যারিয়ারে অমাবস্যা
Published: 5th, February 2025 GMT
মীনাক্ষী, অনু আগরওয়াল থেকে মমতা কুলকার্নি— একসময় রুপালি পর্দায় রাজত্ব করেছেন। খ্যাতি কুড়ানোর পরও বলিউডের এমন অনেক অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার থমকে গেছে। এ তালিকায় আরো একজন রয়েছেন, যার নাম উর্মিলা মাতন্ডকর। শরীরি সৌন্দর্য ও নাচের হিল্লোলে অসংখ্য ভক্তের হৃদয় জয় করেন এই তারকা। নব্বই দশকের শীর্ষ নায়িকাদের অন্যতম হয়ে উঠেন উর্মিলা। নিজ গুণে অভিনেতাদের তুলনায়ও বেশি পারিশ্রমিক নিতেন তিনি।
২০১৪ সালে মুক্তি পায় উর্মিলা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ‘ব্ল্যাকমেইল’ সিনেমায় অতিথি চরিত্রে দেখা যায় তাকে। বলা যায়, ২০১৪ সালের পর খুব নীরবে ঝলমলে দুনিয়া থেকে হারিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। তার হারিয়ে যাওয়ার পেছনের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
উর্মিলা-রাম গোপালের পরকীয়া
১৯৯৫ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘রঙ্গিলা’ সিনেমায় অভিনয় করেন উর্মিলা মাতন্ডকর। শুটিং সেটে সিনেমাটির পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার প্রেমে পড়েন এই অভিনেত্রী। এরপর এই পরিচালকের ‘দাউদ’, ‘সত্য’, ‘কৌন’, ‘মাস্ত’, ‘জঙ্গল’, ‘ভূত’, ‘এক হাসিনা থি’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন উর্মিলা। সেই সময়ে পরকীয়া প্রেমের কারণে নিয়মিত খবরের শিরোনামও হয়েছেন উর্মিলা-রাম গোপাল।
‘নিষিদ্ধ প্রেম’ ধ্বংস করে উর্মিলার ক্যারিয়ার
পরিচালক রাম গোপাল ভার্মাকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন উর্মিলা। যার কারণে অন্য কোনো পরিচালকের সিনেমায়ও অভিনয় করতেন না তিনি। এটি এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, রাম গোপালের সঙ্গে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের’ সম্পর্কে জড়িয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন এই অভিনেত্রী।
উর্মিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের খবরটি রাম গোপালের স্ত্রী রত্নার কানেও পৌঁছেছিল। এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জানা যায়, এজন্য উর্মিলাকে থাপ্পড় মেরেছিলেন রত্না। এরপর রাম গোপাল ভার্মা রত্নার সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন এবং উর্মিলাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনাই উর্মিলার অভিনয় ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয় এবং চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন তিনি।
উর্মিলার অসম বিয়ে
২০১৪ সালে ঋদ্ধি মালহোত্রার বিয়েতে মডেল-অভিনেতা মোহসীন আখতারের সঙ্গে পরিচয় হয় উর্মিলার। পরিচয় রূপ নেয় বন্ধুত্বে; খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। কাশ্মীরের এই যুবক বলিউডে ভাগ্য পরীক্ষার জন্য মুম্বাই পাড়ি দেন। ২০০৯ সালে ‘ইটস আ ম্যান’স ওয়ার্ল্ড’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। এরপর ‘লাক বাই চান্স’, ‘মুম্বাই মাস্ট কালান্দার’, ‘বি.
ভাঙছে উর্মিলার সংসার
ভালোবেসে ঘর বাঁধলেও সুখকর হয়নি উর্মিলা-মোহসীনের সংসার। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন উর্মিলা। এখন আলাদা থাকছেন তারা। কী কারণে সংসার ভাঙছে তা জানা যায়নি। উর্মিলা-মোহসীনও বিচ্ছেদের বিষয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি। তবে এ জুটির সংসার ভাঙার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছে সিয়াসাত ডটকম।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়, উর্মিলা-মোহসীনের সংসার ভাঙার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম— অসম বয়স। মোহসীনের চেয়ে ১০ বছরের বড় উর্মিলা। তা ছাড়া একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। অর্থাৎ ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করেন তিনি। সাধারণত, বয়সের এত ব্যবধান সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করে। এটি কেবল উর্মিলার ক্ষেত্রে নয়, এমন অনেক ঘটনাই রয়েছে। এতে করে নারীর সন্তান ধারণে সমস্যাও হয়। আর এসব নিয়ে ছেলে পক্ষের পরিবার থেকেও একটা চাপ তৈরি হয় (যদিও এ বিষয়টি উর্মিলার ক্ষেত্রে নাও ঘটতে পারে)।
উর্মিলা-মোহসীনের সংসার ভাঙার পেছনে অন্য আরেকটি কারণ আলোচনায় উঠে এসেছে। তা হলো— টাকা নিয়ে এ দম্পতির মাঝে ঝগড়া হয়েছে। মোহসীন ও তার পরিবার উর্মিলাকে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। মূলত, মোহসীনের ব্যবসার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল, সেখান থেকে এটা করা হয়। এ কারণ বিবাহবিচ্ছেদ সমঝোতার মাধ্যমে হচ্ছে না।
তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ, বলিউড শাদি
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার দিবাস্বপ্ন সত্য হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।