Risingbd:
2025-04-09@21:54:50 GMT

জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল 

Published: 5th, February 2025 GMT

জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১২টায় প্রশাসনিক কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে জরুরি সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।

শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে আন্দোলন করায় আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “গত এক সপ্তাহ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আবেদন ও আন্দোলন করে আসছিলেন। যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের স্বার্থ জড়িত, তাই তাদের সবার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে হয়েছে। এ কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছুটা সময় লেগেছে।”

তিনি আরো বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের পোষ্য কোটা বাতিলের বিশেষ চাহিদার কথা বিবেচনা করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বস্তর থেকে বক্তব্যগুলো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির জরুরি সভায় উপস্থাপন করেছি। উক্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় পোষ্য কোটায় ভর্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”

এর আগে, পোষ্য কোটা ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গত ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষার্থী গণঅনশন পালন করেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের অনশনের মুখে পোষ্য কোটা সংস্কারের করা হলে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

এ ঘটনার পরে দুপুর পৌনে ২টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে।  এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরোধ করে রাখেন।

এমন পরিস্থিতিতে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে রাত সোয়া ১২টায় উপাচার্য পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।

ঢাকা/আহসান হাবীব/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৬ কোটির মার্কেটে টেকা যায় না মলমূত্রের গন্ধে

উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (সিটিইআইপি) নির্মিত হয়েছিল পিরোজপুর মাল্টিপারপাস সুপারমার্কেট। ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে বরাদ্দ হয় ১৪টি দোকান। চার বছরে এসেও এ মার্কেটটি কোনো কাজে আসছে না। দু-একটি দোকান নামমাত্র চালু দেখা যায়। বাকি কক্ষগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। দোকান মালিকদের ভাষ্য, নকশাগত ত্রুটির কারণে মার্কেটটির সুফল পাচ্ছেন না পৌরবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের পুরাতন পৌরসভা সড়কে ২০২১ সালে মাল্টিপারপাস সুপারমার্কেটের কাজ শেষ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এতে খরচ হয় পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সিটিইআইপি প্রকল্পের আওতায় এতে অর্থসহায়তা দেয় দাতা সংস্থা এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এ মার্কেটের জমিতে আগে ছিল পুরাতন পৌর ভবন। সেটি ভেঙে মাল্টিপারপাস সুপারমার্কেট নির্মিত হয়। 

সরেজমিনে মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রস্রাব-পায়খানা ও ময়লার কারণে ভেতরের বেশির ভাগ কক্ষে টেকাই দায়। সাবেক এক যুবলীগ নেতার নামে বরাদ্দ দুটি কক্ষ দখল করে নিজ কার্যালয়ে রূপান্তরিত করেছেন এক বিএনপি কর্মী। 

হোমিও চিকিৎসক মো. শাহজাহান বসছেন নিজ ভাইয়ের নামে নেওয়া একটি দোকানে। তিনি বলেন, নিজের নামেও একটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছিলেন। প্রতিবন্ধকতার কারণে সেটি বন্ধ অবস্থায় আছে। মার্কেটটির অবস্থা খুবই নাজুক জানিয়ে তিনি বলেন, আদতে এটি পুরোপুরিভাবে চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

মার্কেটের সামনের সড়কে স্থাপন করা হয়েছে ইজিবাইক স্ট্যান্ড। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এখানকার অধিকাংশ কক্ষ গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কারণে মার্কেটের মূল চরিত্র ও অবয়ব দৃশ্যমান নয়। তাই এলাকাবাসীরও এ মার্কেট নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। 

পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আব্দুল হাই হাওলাদারের দাবি, একরকম বাধ্য হয়ে তারা এ মার্কেটটি নির্মাণে সম্মতি দিয়েছিলেন। যদিও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস ছালাম বাতেনের ভাষ্য, বিশেষ মহলের স্বার্থরক্ষায় মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বিদেশি সংস্থার টাকার অপচয় হয়েছে। এটি এখন গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কেটের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি। মার্কেট নির্মাণের পরে দোকান বরাদ্দ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পিরোজপুরের একটি প্রভাবশালী মহল নিজস্ব লোকজনকে দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডি যখন উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বহুমুখী মার্কেটটি নির্মাণ শুরু করে, তখনই নকশাগত ত্রুটির বিষয়টি সামনে এসেছিল। তবে বিদেশি সহায়তায় নির্মাণের কারণে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র, প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয়নি। 

পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকোশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, সুপারমার্কেটটি ছয়তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত। একতলার ১৪টি দোকান নির্মাণের পর আগ্রহী ব্যক্তিরা দরপত্রের মাধ্যমে বন্দোবস্ত পান। এ জন্য তাদের জামানত দিতে হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। মাসিক ভাড়া ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। ৬ মাস আগে দোকানগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ