ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ দুই দলের সামনে। তবে চিটাগং কিংসের জন্য এমন সুযোগ কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের কাছে হারাতেই তারা এখন বাধ্য আরেকটি ম্যাচ খেলতে। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সকে লজ্জার হার উপহার দিয়ে খুলনা টাইগার্স সুযোগটা অর্জনই করেছে বলতে হবে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে দুই রকম ‘কম্বিনেশনের’ এই দুই দল। দুটি দলের সমন্বয় দুই রকম হতেই পারে। তবে এখানে বিশেষভাবে তা উল্লেখের কারণ ওই ‘দুই রকমের’ মধ্যে থাকা একটা অস্বাভাবিকতা। খুলনা টাইগার্স তাদের ‘কম্বিনেশন’টাকে মনে করছে সেরা। আর চিটাগং কিংস নিজেদের ‘টিম কম্বিনেশন’কে নিজেরাই বলছে ‘ভুল’। ‘সেরা’ আর ‘ভুল’ কম্বিনেশনের লড়াইটা কে জিতে ফাইনালের চৌকাঠ ডিঙোবে, সেটি দেখারই উত্তেজনাপূর্ণ অপেক্ষা চলছে এখন।

ঐচ্ছিক অনুশীলনে খুলনা টাইগার্স ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। এবারের বিপিএলে নাঈমের ব্যাট তাঁর হয়ে কথা বলছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ