পলাশ আর মালতীর ছোট্ট ছিমছাম সংসার। পলাশ একটি দোকানের সাধারণ কর্মচারী। মালতী অন্তঃসত্ত্বা। বিবাহবার্ষিকীতে দুজন মিলে নৌকায় ঘুরতে বের হয়। কেক কাটে, ঘোরাঘুরি করে। আর দশটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মতো সুখে সংসার করার স্বপ্ন দেখে তারা। মালতী পলাশকে বলে, ‘আমাকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দাও, নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে একটা ফ্যাক্টরি দিয়া দিমু।’ উত্তরে পলাশ বলে, ‘আমিও তাহলে জসিমের মতো একটা ঠেলাগাড়ি কিনে নিই। ঘুরে ঘুরে লেইস–ফিতা বিক্রি করি।’ তাদের এই সাজানো সংসার হঠাৎ ওলট-পালট হয়ে যায়। অন্যান্য দিনের মতো পলাশ দোকানে যায়। কিছুক্ষণ পর মালতী টিভিতে দেখে, পলাশের দোকান যে ভবনে, তাতে আগুন লেগেছে। পলাশকে পাওয়া যায় না। নিমেষে তা বদলে দেয় তার জীবনের মোড়।

‘প্রিয় মালতী’র দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় রাতে বাড়ির সামনে সাংবাদিকের ওপর হামলা, দায়ের কোপে গুরুতর আহত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক ও যুবদল নেতা জহিরুল ইসলামকে (মিরন) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী এলাকার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জহিরুল ইসলাম বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের কলাপাড়া প্রতিনিধি। তিনি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। এ ছাড়া জহিরুল ইসলাম কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।

আহত জহিরুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মিরন (জহিরুল) গতকাল রাতে ঢাকা থেকে এসেছে। মাইক্রোবাস থেকে নেমে সে বাড়িতে প্রবেশ করছিল। তখন রাত সাড়ে ১২টা। আমাকে ডেকে মিরন যখন বাড়িতে প্রবেশ করতে থাকে, ঠিক ওই সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা দৌড়ে এসে মিরনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। চারজন হামলাকারী মিরনকে কোপাতে থাকে। তাদের হাতে রামদা ও বটি ছিল। আমার মনে হয়েছে, হামলাকারীরা দলে আরও বেশি ছিল।’

পরে আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল রাতেই জহিরুলকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, জহিরুলের হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশ কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ডান হাতের কবজি বরাবর ক্ষত হয়েছে। রামদার কোপে মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর গতকাল রাত থেকেই পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ