শুভ জন্মদিন রোনালদো, নেইমার, তেভেজ, হ্যাজি ও সিজার
Published: 5th, February 2025 GMT
নামগুলো এত বিখ্যাত যে তাঁদের যেকোনো একজনের জন্মদিনটাই ফুটবলের জন্য বড় এক উপলক্ষ।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন তো আর শুধু তাঁর সময়ের নন, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন। নেইমারের আবির্ভাব সর্বকালের সেরাদের মধ্যে যাওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এখনো সেখানে যেতে পারেননি, সময় ফুরিয়ে এলেও একদম শেষ হয়ে যায়নি। তবে নিজের সময়ের সেরাদের মধ্যে অবশ্যই থাকবেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। কার্লোস তেভেজের শুরুটাও ‘নতুন ম্যারাডোনা’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আরও অনেক আর্জেন্টাইনের মতো তিনিও সেটা হতে পারেননি। কিন্তু নিজের সময়ে ক্লাব ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন তেভেজ।
আরও পড়ুনইয়ামালের আঁকানো–বাঁকানো পথের শেষে মেসি–ম্যারাডোনার বসতবাড়ি১৬ ঘণ্টা আগেএই তিন তারকার জন্মদিন যখন একই দিনে হয়, সেটা একটা দারুণ ব্যাপারই তো। ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয়েছিল এই তিনজনেরই। আজ সেই দিন।
রোনালদোর আজ ৪০তম জন্মদিন। পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী পর্তুগিজ কিংবদন্তি এখনো চুটিয়ে খেলে যাচ্ছেন। সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরের হয়ে নিয়মিতও গোলও পাচ্ছেন। এই মৌসুমে ২৫ ম্যাচে পেয়েছেন ২৩ গোল। প্রো লিগে ১৭ ম্যাচে ১৫ গোল করে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষেও রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দল নিয়ে ৯২৩ গোল করা রোনালদোর বয়স ৩০ পেরিয়েও ধার কমেনি। ৩০ পেরোনোর আগে করেছেন ৪৬৩ গোল। আর ৩০ পেরিয়ে এ পর্যন্ত করেছেন ৪৬০ গোল।
৪০তম জন্মদিনের আগে গতকাল এই ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’