জানুয়ারি মাসে ৬২১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন নারী ও শিশু ৮৪ জন। এ ছাড়া গত মাসে ২৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬৪ জন; যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১৪৩ জন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে নিহত হয়েছেন ১৯ দশমিক ৬১ জন। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতির ফলে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারানো। তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি ও চালকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পোর্টাল এবং টিভি চ্যানেলের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মাসে ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেলপথে ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট নিহতের মধ্যে বাসের যাত্রী ২৮ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন; ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান, লেগুনার মতো তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী ও চালক ৯০ জন ছিলেন।
ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; মহাসড়কে ধীর স্বল্পগতির যানবাহন, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, চাঁদাবাজিসহ দুর্ঘটনার ১০ কারণ টিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। দুর্ঘটনা রোধে এসব অনিয়ম রোধসহ ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে সহায়তার জন্য ‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সংঘাত এড়িয়ে যেতে হলে মানবিক করিডর প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তব্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব কোন শর্তে অন্তর্বর্তী সরকার বিবেচনা করেছে, প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, এ শর্ত সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। জনগণকে অবহিত না করে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল জানায়, রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দৃঢ় অঙ্গীকার আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।