গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিএনপির এক পক্ষের সভা পণ্ড করে দিয়েছে অপর পক্ষ। ‘এক জিয়া লুকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ স্লোগান দিয়ে সভাস্থলের চেয়ার-টেবিলও তারা নিয়ে যায়। সোমবার বিকেলে উপজেলার ভাঙ্গারহাট বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে সভা আহ্বান করা হয়। সভায় নেতাকর্মীরা আসার আগেই সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অনিমেশ গাইনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে আনোয়ার ও তাঁর সমর্থরা সভাস্থলে না এসে ভাঙ্গারহাট বাজার থেকে ফিরে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, অনিমেশ গাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি সভাস্থলের চেয়ার-টেবিল নিয়ে যায়। আমরা সংঘর্ষ এড়াতে সভা না করে ফিরে আসি। 

অনিমেশ গাইন বলেন, কিছুদিন আগে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি হয়। এই কমিটির বাইরে এখানে কোনো সভা করতে হলে আমাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে করা উচিত ছিল। আমরা মনে করি, তারা দুষ্কৃতিকারী। তাই সভা করতে দেওয়া হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বিশেষ দূতের  সাক্ষাৎ      

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের যুব, শিক্ষা ও উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ দূত জুরিয়ান মিডেলহফ।                                

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা, শ্রম অসন্তোষ নিরসন, শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন, শ্রম সংস্কার, যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং তৈরী পোশাক খাতের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কর্মসংস্থান অধিদপ্তর নামে নতুন একটি অধিদপ্তর সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রম সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের সব (প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক) শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” 

তিনি বলেন, “শ্রমঘন এলাকায় অস্থিরতা নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, টুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং মালিকপক্ষ একযোগে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীজনদের বাস্তবসম্মত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সব পক্ষের মতামত অনুযায়ী শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, অর্থনীতি ও বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি সারা ভ্যান হোভ, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এরিক প্যারিগার।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ