ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। সহকারী হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকরা গত ডিসেম্বরে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। তারা হাইকমিশনে ভাঙচুর করে এবং জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এরপর নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী হাইকমিশনের সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। ওই হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলবও করে। আগরতলার ঘটনায় বাংলাদেশ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। হাইকমিশনারের হাতে একটি প্রতিবাদপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছিল। 

এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

হামলার ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ। বদলি করা হয় জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। 

হামলা হওয়ার পর ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছিলেন সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। গত ৭ জানুয়ারি তিনি নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের  নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

 এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের টিম কাজ করছে।

বাহারুল আলম বলেন, সরকার কোনো আইনি আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে না। তবে প্রতিবাদের নামে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করব না।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন,  এমন এক সময়ে যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছি, তখন আমাদের দেশবাসীর কাছে এ ধরনের দুঃখজনক উদাহরণ স্থাপন করা দুঃখজনক। এসব ব্যবসার বেশিরভাগই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কেউ কেউ বিদেশি যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতেন। তারা সবাই দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যারা এই জঘন্য ভাঙচুর করেছে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার প্রকৃত শত্রু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির