সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৪ সালে সবগুলো সূচকেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ। কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম তথা নতুন ব্যবসা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ। একইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড, বিনিয়োগ এবং সম্পদের পরিমাণ।

বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র কাছে দাখিল করা কোম্পানিটির ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক ও হিসাব সমাপনী প্রতিবেদন পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এই চিত্র। জেনিথ ইসলামী লাইফ দেশের বীমা খাতে ব্যবসা শুরু করে ২০১৩ সালে।
বীমা কোম্পানিটি বলছে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা আকৃষ্ট করেছে গ্রাহকদের। স্বাস্থ্য বীমাসহ কোম্পানিটির সময়োপযোগী নতুন নতুন বীমা পলিসিও উঠে এসেছে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায়। একইসঙ্গে বীমা দাবি পরিশোধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করায় উত্তোরত্তর প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১৮.

৫১ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম আয় করে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিল ২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০২৪ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রথম বর্ষ বা নতুন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১২.৪৮ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে কোম্পানিটি প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় করে ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিলো ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ নতুন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

জেনিথ ইসলামী লাইফ ২০২৪ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম আয় করে মোট ১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে গেলো বছর কোম্পানিটির নবায়ন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ২৬.৮০ শতাংশ। এছাড়াও কোম্পানিটি সর্বশেষ হিসাব অনুসারে গ্রুপ বীমায় প্রিমিয়াম আয় করে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

অপর দিকে মোট প্রিমিয়াম আয়ের ওপর মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের হারও কমেছে জেনিথ ইসলামী লাইফের। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৫৮.৯৮ শতাংশ খরচ করেছে। যা আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ৫৯.০৬ শতাংশ। অর্থাৎ ০.০৮ শতাংশ খরচ কমেছে।

২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যেখানে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম আয় ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৫১.১০ শতাংশ:
সর্বশেষ হিসাব অনুসারে ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৫১.১০ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিল ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা বেড়ে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড হয়েছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বীমা দাবি পরিশোধ বেড়েছে ২৮.৩৯ শতাংশ:
সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিল ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এই হিসাবে ২০২৪ সালে কোম্পানিটির বীমা দাবি পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ২৮.৩৯ শতাংশ।

বিনিয়োগ বেড়েছে ১৩.৪৮ শতাংশ:
জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ১৩.৪৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগ ছিলো ৩২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৭ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬২১ টাকা।

সম্পদ বেড়েছে ১৪.৭৫ শতাংশ:
হিসাব সমাপনী প্রতিবেদনে অনুসারে ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট সম্পদ বেড়েছে ১৪.৭৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মোট সম্পদ ছিল ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে ৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেড়ে মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এসব বিষয়ে কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের সেবায় আস্থা রেখে দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বীমা চুক্তি করেছে। তিনি বলেন, বীমা দাবি পরিশোধসহ গ্রাহকসেবাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের কোন বীমা দাবি বকেয়া নেই। কোম্পানির সকল গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফের।
এস এম নুরুজ্জামান আরো বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। বিশ্বের সব থেকে আপডেট টেকনোলজি ইআরপি সফটওয়্যার থাকায় মাঠ পর্যায়ে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিমিষেই গ্রাহক তার সকল তথ্য দেখতে পারেন।

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: প র ম য় ম আয় ব ড় ছ ম ট প র ম য় ম আয় ন প র ম য় ম আয় প র ম য় ম আয় ক জ ন থ ইসল ম ২০২৩ স ল পর শ ধ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, দুলাভাইয়ের ফাঁসি 

বরগুনায় আপন শ্যালিকাকে (স্ত্রীর ছোট বোন) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ইলিয়াস পাহলান নামের (দুলাভাই) একজনকে ফাঁসি। এছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লাইলাতুল ফেরদৌস আজ রোববার দুপুরে এ আদেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আসামির শ্যালিকা রিগানকে ধর্ষণ চেষ্টার অপরাধে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়। এছাড়া ভিকটিম রিগানকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরতর জখমের অভিযোগে আরও ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী রিগানের সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক কলহের জের ধরে মামলা চলছিল। যে কারনে রিগান একমাত্র শিশু কন্যা তাইফাকে নিয়ে বাবার বাড়ি বসবাস করতেন। এ সুযোগে ২০২২ সাল থেকে রিগানের প্রতি কু-নজর পড়ে আপন বড় বোনের জামাই ইলিয়াস পাহলানের। অনৈতিক কাজের জন্য একাধিকবার উত্ত্যক্ত করেও আসছিল রিগানকে। তবে রিগান দুলাভাইয়ের অনৈতিক এ প্রস্তাবে রাজি হননি। এ কারনে শ্যালিকা রিগানের প্রতি ক্ষুব্দ ছিল ইলিয়াস।

২০২৩ সালের ৩ আগস্ট রিগানের মা বেড়াতে যান দুলাভাই ইলিয়াসের বাড়িতে। তাই বাড়িতে একা থাকতে নিরাপত্তাহীনতার কারনে প্রতিবেশী হাফিজুল (১৩) ও ৩ বছরের শিশু কন্যা তাইফাকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। 

এদিকে শ্বাশুড়ি বাড়িতে নেই নিশ্চিত জেনে ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট গভীর রাতে দরজা ভেঙে রিগানের বাড়িতে প্রবেশ করে দুলাভাই ইলিয়াস। এরপর চেষ্টা চালায় রিগানকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে। কিন্তু রিগান এতে বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ইলিয়াস রিগানের হাত থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে রিগানকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় পাশে ঘুমানো হাফিজুলের ঘুম ভেঙে যায় এবং ইলিয়াসকে বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন। পরে রিগানের ৩ বছরের শিশু কন্যাকেও কুপিয়ে চলে যায়। 

হাফিজুল একই উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের গোলাম খবিরের ছেলে। ওইদিন হাফিজুল খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।

পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা গিয়ে হাফিজুলের মরদেহ এবং রিগান ও তার মেয়েকে গুরুত্বর জখম অবস্থায় দেখতে পায়। পরে বরগুনা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাফিজুলের মরদেহ উদ্ধার এবং রিগান ও মেয়ে তাইফাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিগান ও তার মেয়েকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে তাইফা মারা যান।

এদিকে ঘাতক ইলিয়াস রাতে কুপিয়ে বরগুনা শহরের আবাসনে গিয়ে তার নিজের বাসায় ঘুমান। সকালে হত্যার খবর পেয়ে অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সাথে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশ তাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে ইলিয়াস এবং হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (দা) ওই বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করে দেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
  • সড়কের কাজ ফেলে রেখে উধাও ঠিকাদার, দুর্ভোগে অর্ধলাখ বাসিন্দা
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা মুনাফা ব্র্যাক ব্যাংকের
  • তালেবান সরকার কেন ভারতের দিকে ঝুঁকছে
  • বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
  • তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
  • শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, দুলাভাইয়ের ফাঁসি 
  • অর্থবছরের আট মাসে অর্ধেক বাজেটও বাস্তবায়ন হয়নি