সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আসন্ন রমজান মাসে লাভের পরিমাণ কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ইফতার পার্টি করবে, এটা করবে সেটা করবে। এসব না করে কীভাবে জিনিসপত্রের দাম কম থাকে এটার ব্যবস্থা করুক।

প্রতিবছর রমজানের আগে সরকার থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় নিত্যপণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকবে। কিন্তু আশ্বাস কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবায়ন হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সরকার মনেপ্রাণে চায় যেন নিত্যপণের দাম কোনো অবস্থাতেই না বাড়ে। আপনারা যদি অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করেন এবং আমাদের দেশে দেখেন যেমন খ্রিস্টানরা তারা তাদের ক্রিসমাসের সময় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। অন্যান্য ধর্মের মানুষও দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের বিজনেসম্যানরা ভাবেন যে এটাই বুঝি তাদের আয়ের মাস। এটা আপনাদেরকেই বলতে হবে যে তোমরা এই সময়ে প্রফিট মার্জিনটা (লাভের পরিমাণ) কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াও। এটা কিন্তু একটা বড় ধরনের সওয়াব হবে। আমাদের তো হয় উল্টো। রোজার মাসেই কিন্তু ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি আয় করতে চান। এটা যেন না করে এ বিষয়ে আপনাদের সজাগ হতে হবে।

তিনি বলেন, এবার আমাদের ছোলা বা অন্যান্য পণ্য অনেক বেশি আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের মনে হয় না কোনো অসুবিধা হবে এবং জিনিসপত্রের দাম একটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। নাগালের মধ্যে থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রমজানের সময় সবজির একটু ট্রানজিট পিরিয়ড হবে। সিজিনাল সবজি শেষ হয়ে যাবে, খামারের সবজি আসবে। এই ট্রানজিট পিরিয়ডটার দিকেও একটু খেয়াল রাখতে হবে। এই শীতকালীন সবজি সংরক্ষণ করার জন্য নতুন একটা কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কনটেইনারে যেন ৬ মাস ৮ মাস ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, গাজর রেখে দিতে পারে সে বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। কাজ শুরু হয়ে গেছে, কিছুদিনের মধ্যে আমরা রাখার ব্যবস্থা করবো। এমনকি আমরা ফলও রেখে দিতে পারবো।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের দাম বাড়ানো হচ্ছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবখানেই তদবির বাণিজ্য, পদোন্নতি এবং পদবঞ্চিত করার অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি এখানে আসার পর আপনারা একটা উদাহরণ দেন যে এটা করা হয়েছে। পদোন্নতি প্রপার জায়গা (যোগ্য ব্যক্তিকে) না দিয়ে যোগ্যছাড়া দেওয়া হয়েছে। এমন একটা উদাহরণ আপনারা দেখিয়ে দেন। আমি যদি দুর্নীতি করি আপনারা লিখে দেন। আপনারা সত্যি কথা লিখবেন এটাই আমরা চাই। তবে হ্যাঁ চাঁদাবাজির কারণে অনেক সময় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। চাঁদাবাজির মাধ্যমে যাতে জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে সেজন্য চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমি উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকে আমার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে, বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। যারে আমি কোনোদিন দেখিনি সেও এসে বলে ভাই আপনার সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশুনা করছি। কিছু কিছু বাঙালির এই সমস্যা। এজন্য আমাদেরও কেয়ারফুল (সতর্ক) থাকতে হয়।

রমজানের সময় যদি কোনো সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায় সেক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি সিন্ডিকেট করে তাহলে সে শুধু জনগণের কাছে না আল্লাহর কাছেও কিন্তু দায়ী থাকবে। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাইকে সচেতন করবেন এবং যতটা অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়ার আমরা ততটাই নেবো।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: জ ন সপত র র দ ম জনগণ র ব যবস আপন র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার যত দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত সংকটে পড়বে: তারেক রহমান

সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি তাহলে যে স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিতাড়িত করেছে সেই স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। তাই যে বিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ সংস্কারের কথা বলছেন, তারা দয়া করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ারি যুক্ত হন প্রধান অতিথি তারেক রহমান। কর্মশালায় মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানা বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবার আগে নির্বাচনই প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে তারাই সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবে, তাদেরকে শুরু করতেই হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদা করবে যে, তারা সুযোগ পেলে এই সব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে, যেটাই হোক না কোনো এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। একটিই পথ, জনগণের নির্বাচন, জনগণের নির্বাচন।

তারেক রহমান বলেন, জবাবদিহিতার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে, সেটি জাতীয় নির্বাচন কিংবা যে নির্বাচনই হোক। আমরা যদি দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই, আমরা যদি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কাজ শুরু করতেন চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করতে হবে। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করব, তত দ্রুত আমরা পরিবর্তনের কাজ শুরু করতে পারব। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে পারব, তত দ্রুত আমরা দেশকে আরও ধ্বংস হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোশাক বদলালেই কি পুলিশ বদলাবে?
  • নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না, পিঠের চামড়া থাকবে না : সাখাওয়াত
  • নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ নেই: অনিন্দ্য ইসলাম
  • পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বইমেলায় আফরোজা খাতুনের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’
  • বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না আ.লীগ: আসিফ মাহমুদ
  • ন্যূনতম সংস্কারের জন্য ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত 
  • সংস্কারের আলাপ যত, সংকট তত: তারেক রহমান
  • সংস্কার যত দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত সংকটে পড়বে: তারেক রহমান