স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দুটি পরিবহন শ্রমিক সংগঠন। এর জেরে উপজেলার শেরপুর বাজারে পরিবহন শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে স্থানীয় শেরপুর ফাঁড়ি ও হাইওয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট-মৌলভীবাজার বাস-মিনিবাস শ্রমিক উপকমিটি ও শেরপুর কার-লাইটেস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান। এর জের ধরে গতকালের সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসংলগ্ন শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পরস্পরের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পাপলু, আবু তাহের, সুমন মিয়া, সিতাব আলী, জুয়েল, সুন্দর আলী, অসিতসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করতে মডেল থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রিত শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাশসহ হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে উত্তেজনা কমে আসে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর বহন স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি উচ্ছ্বসিত, খুশি, আনন্দে আত্মহারা’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুই ফ্রি-কিক করে রাতটা নিজের করে নিয়েছিলেন আর্সেনালের ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে রীতিমতো বিরল এক কীর্তি। রিয়ালের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বে।

ম্যাচ শেষে অ্যামাজন প্রাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, ‘ম্যানেজারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার বলা হচ্ছিল আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে। দলের সবাই বিশ্বাস করেছিল আমরা এই ম্যাচ জিততে পারি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতেই হতো।’

প্রথম ফ্রি-কিক নিয়ে রাইস বলেন, ‘আগে অনেকবার এমন চেষ্টায় বল দেয়ালে লেগেছে কিংবা বাইরে চলে গেছে। শুরুতে আমরা সেটি ক্রস করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেয়াল আর গোলকিপারের অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নেই সরাসরি মারার।’

রাইস যোগ করেন, একই ম্যাচে যখন দ্বিতীয়টি পেয়ে গেলাম, সেটা আসলে কেমন অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। তবে সেসময় আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশিই ছিল। এখনও ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি না আমি কী করলাম। আমি উচ্ছ্বসিত, আমি খুশি, আমি আনন্দে আত্মহারা।’

ম্যাচ শেষে জানালেন, এই অসাধারণ মুহূর্তের পেছনে অনুপ্রেরণাদাতা ছিলেন সতীর্থ বুকায়ো সাকা। মাঠে নামার আগে সাকা বলেছিলেন, ‘মুহূর্তটা অনুভব করো’। ওই কথা শুনে সাহস পেয়েছিলাম। দ্বিতীয়টি মারার সময় তাই আত্মবিশ্বাস ছিল বেশি।

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এই জয় আর্সেনালকে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। ফিরতি লেগে যদি তারা এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারে, তাহলে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নটাও বাস্তব রূপ নিতে পারে।

তবে ফিরতি লেগ সামনে রেখে এখনই উচ্ছ্বাসে ভাসতে চাইছেন না রাইস, ‘এই প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলকে হারানো, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বড় একটি রাত। তবে আমরা এই প্রতিযোগিতা জিততে চাই। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে জিততে হবে।’

আগামী ১৬ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগ। তার আগে প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে রাইসকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। সেমিফাইনালে উঠলে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ হবে অ্যাস্টন ভিলা অথবা প্যারিস সেন্ট জার্মেইন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ