বিএনপি নেতাকর্মীদের দণ্ডের বিষয়ে রায় বুধবার
Published: 4th, February 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ আসামিদের দণ্ড নিয়ে রায় বুধবার। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এ মামলার অন্যতম আইনজীবী জামিল আখতার এলাহী।
গত বৃহস্পতিবার এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মো.
৩০ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা মামলার রায়ে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, শামসুল আলম, এ কে এম আখতারুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা মাহ্বুবুর রহমান পলাশ, রেজাউল করিম ভিপি শাহিন, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহিন ও মোস্তফা নুরে আলম শ্যামলকে মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের পট পরিবর্তনের পরপরই ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্য নেতাকর্মীরা জামিনে মুক্তি পান। তবে কারা অন্তরীণ রয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ বিএনপি নেতা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ জুলাই চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত এ মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল জাতের বিড়ালজাতীয় প্রাণী অনলাইনে বিক্রির সন্দেহে স্পেনে দম্পতি গ্রেপ্তার
অনলাইনে সাদা বাঘ, পুমা ও ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো সংরক্ষিত ও বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী বিক্রি করছিলেন সন্দেহে স্পেনে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে সিভিল গার্ড পুলিশ স্পেনের মায়োর্কা দ্বীপে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায়। কারণ, তাঁরা সেখানে বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী পুষতেন এবং এগুলোর প্রজনন ঘটাতেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করতেন। ওই অভিযান ছিল একটি বড় অভিযানের অংশ, যা গত মার্চে শুরু হয়েছে।
অভিযানে মোট ১৯টি বিড়ালজাতীয় প্রাণী ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ১টি ক্যারাকাল, ২টি সার্ভাল ও ১৬টি শংকর বিড়াল।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ‘বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।’
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ধরনের প্রাণী কেনার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলো বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা হতো। এরপর ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের (আইএফএডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপ বিরল প্রাণীর বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসব প্রাণীর অবৈধ কালোবাজার দিন দিন বাড়ছে।
ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হায়েনা, মরুভূমির লিংক্স ও পুমার মতো অন্যান্য প্রাণীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্লাউডেড লেপার্ড মূলত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনলাইনে এটি ৬৮ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।