জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব কর্মকর্তার স্ত্রীর পুকুর
Published: 4th, February 2025 GMT
রাজশাহীর চারঘাটের নিমপাড়া ইউনিয়নে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড খুলনা অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুসফিকা আকতার মিম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মঙ্গলবার চারঘাট মডেল থানায় মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করেন।
২০১৮ সালে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোতকার্তিক হিন্দুপাড়ায় রাকিবুল ইসলাম, রাজু আহমেদ ও সঞ্জু আলী নামে তিন ভাইয়ের সাড়ে আট বিঘা জমি ৭০ লাখ টাকায় কেনেন ডেপুটি কমিশনারের স্ত্রী মুসফিকা আক্তার। জমিটি কেনার সময় সেখানে আমবাগান ছিল। চলতি বছর বাঘা উপজেলার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেই বাগানে পুকুর খননের জন্য চুক্তি করেন। ২০ জানুয়ারি থেকে সেই জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করেন। এতে জমির পাশে থাকা বাড়িগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্বিগ্ন আশপাশের জমির মালিকরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জানুয়ারি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন। সেখানে কাউকে না পেয়ে মাটি ভেকু মেশিনটি অকার্যকর করে খননকাজ বন্ধ করে দেন। অভিযানের পরদিনই আবারও ভেকু মেশিন মেরামত করে গভীর রাতে মাটি কাটা শুরু করেন মুসফিকা আকতার মিমের লোকজন। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার জমির মালিক ও খননকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, মুসফিকা আক্তার মিম একজন গৃহিণী। তাঁর বাবা বেল্টু আলী নন্দনগাছী এলাকার কৃষক। তাঁর পক্ষে ৭০ লাখ টাকায় জমি কেনা সম্ভব না। মূলত ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ নিজের নামে জমি না কিনে স্ত্রীর নামে কিনেছেন।
স্ত্রীর নামে মামলা ও জমি কেনার বিষয়ে ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জমিটি আমার স্ত্রী তার বাবার সূত্রে পেয়েছে। জমি কেনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। শুনেছি, জমিটি
এক ব্যক্তিকে লিজ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির অপরাধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, জোতকার্তিক হিন্দুপাড়ায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খনন বন্ধ করা হয়। এর পরও গভীর রাতে সেখানে খননকাজ করা হয়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নিয়ম নেই। এ কারণে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পদ্মা ও বড়াল অধ্যুষিত রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসল আবাদের পাশাপাশি অসংখ্য আমের বাগান রয়েছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে এসব এলাকায় উদ্বেগজনক হারে পুকুর খনন হয়েছে। ২০০৭ সালের পর দেড় দশকে শত শত পুকুর খনন হয়েছে। যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আশঙ্কাজনক হারে আম, ধান, গম, ভুট্টার মতো খাদ্যশস্য ও সরিষা উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পুকুর খনন বন্ধে উপজেলার চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় চারঘাটে এই প্রথম পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পানি উন্নয়ন বোর্ডে ২৭৭ পদে বড় নিয়োগ, আবেদন করেছেন কি
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৬ পদে ২৭৭ কর্মী নিয়োগ দেবে। নবম থেকে ১৬তম গ্রেডের এসব পদে আবেদন চলছে। এসব পদে নারীদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পদের নাম ও বর্ণনা
১. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (পুর)পদসংখ্যা: ৫০
গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
২. পদের নাম: সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)পদসংখ্যা: ৬
গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
আরও পড়ুনচার বিসিএসের জট কাটিয়ে এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার চিন্তা পিএসসির১৭ ঘণ্টা আগে৩. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (পুর)/প্রাক্কলনিকপদসংখ্যা: ১০২
গ্রেড-দশম
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
৪. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ)পদসংখ্যা: ২২
গ্রেড: ১০
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
৫. পদের নাম: হিসাবরক্ষকপদসংখ্যা: ১৯
গ্রেড-১২
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা।
এআই জেনারেটেড ছবি