ববিতে কর্মচারীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তাকে জুতাপেটার অভিযোগ
Published: 4th, February 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অফিসে প্রবেশ করে কর্মকর্তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত ও জুতাপেটা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত মতিউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী। অপরদিকে, ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে অর্থদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তকর্তার রুমে এ লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে অর্থদপ্তরে নিজ কক্ষে বসে ছিলেন শহিদুল ইসলাম রানা। এ সময় কোন কথা না বলেই মতিউর রহমান ডেস্কে গিয়ে রানাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত শুরু করেন। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে মারধর করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান।
অভিযুক্ত কর্মচারী (দৈনিক মজুরিভিত্তিক) মতিউর রহমান বলেন, “রানা আমার কাছে থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি টাকা পামু। টাকা তো দেয়ই না, আবার আমার নামে থানায় জিডি করছে। আমি তারে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় বলে আপনিও আমার নামে ডিজি করেন। দীর্ঘদিন পাওনা টাকা নিয়ে তালবাহানা করছে।”
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, “মতিউর আমাকে কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছে। সে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। এ নিয়ে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আজ অফিসে এসে আমি কেন মামলা করেছি, তা জিজ্ঞেস করে। এরপরই আমাকে সে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।”
পাওনা টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে তাকে প্রমাণ দেখাতে বলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি। এর উপর ভিত্তি করে আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছি। তিনি তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কর্মচারীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “উপাচার্য স্যার অসুস্থ। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলেই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় রাতে বাড়ির সামনে সাংবাদিকের ওপর হামলা, দায়ের কোপে গুরুতর আহত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক ও যুবদল নেতা জহিরুল ইসলামকে (মিরন) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী এলাকার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জহিরুল ইসলাম বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের কলাপাড়া প্রতিনিধি। তিনি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। এ ছাড়া জহিরুল ইসলাম কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।
আহত জহিরুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মিরন (জহিরুল) গতকাল রাতে ঢাকা থেকে এসেছে। মাইক্রোবাস থেকে নেমে সে বাড়িতে প্রবেশ করছিল। তখন রাত সাড়ে ১২টা। আমাকে ডেকে মিরন যখন বাড়িতে প্রবেশ করতে থাকে, ঠিক ওই সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা দৌড়ে এসে মিরনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। চারজন হামলাকারী মিরনকে কোপাতে থাকে। তাদের হাতে রামদা ও বটি ছিল। আমার মনে হয়েছে, হামলাকারীরা দলে আরও বেশি ছিল।’
পরে আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল রাতেই জহিরুলকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, জহিরুলের হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশ কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ডান হাতের কবজি বরাবর ক্ষত হয়েছে। রামদার কোপে মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর গতকাল রাত থেকেই পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।