রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতের এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে ২০ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

ধর্ষণের শিকার নারী নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। তার স্বজনদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়ার ভিসা দেওয়ার কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন সাগর নামে এক ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও তাকে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হয় সাগর। টাকা ফেরত চাইলে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। এরপর আবারও বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তাকে সোমবার রাজধানীতে ডাকে সাগর। এরপর শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন গোল্ডেন আবাসিক হোটেলে নিয়ে আটকে রেখে ৮-১০ জন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে ওই হোটেলে অভিযান চালানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তি ও ভবনের কেয়ারটেকার বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে।

কাফরুল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রুবেল মল্লিক বলেন, ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কাফরুল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে মদ ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে ১৩ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ছাবু মিয়া হত্যা মামলার চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক একেএম কামাল উদ্দিন। আদালতের পেশকার তপন শীল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল মৌলার ছেলে আবুল, বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান, মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান ও মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ। 

আরো পড়ুন:

মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধে গুলি, নিহত ১

নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের ছাবু মিয়ার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগমকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ২০০৭ সালের মাঝামাঝি ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন প্রতিবেশী এমরান মিয়া। এরপর ছাবু মিয়াও আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে  মনোমালিন্য চলছিল।

এরই জেরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাবু মিয়াকে ডেকে নিয়ে যান এমরান, সোলেমান ও আবুল। এরপর থেকে ছাবু মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন ১৪ এপ্রিল গ্রামের হাওরের ছাবু মিয়ার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই হাফিজ মিয়া। পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আজ মামলার রায় দিলেন বিচারক।

আদালতের পেশকার তপন শীল বলেন, “মামলায় পাঁচজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। অপর আসামি মারাজ মিয়া মামলা চলাকালে মারা যান। এ কারণে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় দিয়েছেন।”

মামলার বাদী নিহত ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া বলেন, “আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। দ্রুত আসামিদের সাজা কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।”

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি একেএম বজলুল আমীন বলেন, ‍“আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। আমি মনে করি, এ রায় একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় চালকল মা‌লিক স‌মি‌তির সভাপ‌তির বা‌ড়ি লক্ষ‌্য ক‌রে গু‌লি
  • হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • নরসিংদীতে দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় না গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ‘বিচার’
  • কক্সবাজারে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর, ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • কক্সবাজারে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০০
  • কক্সবাজারে খোলেনি কেএফসি-পিৎজা হাট
  • চট্টগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় একজন গ্রেপ্তার
  • রাজধানীতে সাড়ে সাত মাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষণ ২১৬
  • বংশালে লেপ-তোশকের দোকানে আগুন, নিহত ১
  • বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে আটক ১