ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই
Published: 4th, February 2025 GMT
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টোডিয়ামে ডা. শফিকুর রহমানের আগমনে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙলবার বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জ মহানগরীও জেলা জামায়াতের শৃঙ্খলা বিভাগের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শৃঙ্খলা বিভাগের প্রস্তুতি সভায় মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের হাফেজ আবদুল মোমিন, সাঈদ সারোয়ার প্রমূখ।
এসময় প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর কিছু এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করতে হবে। এবং বাংলাদেশে ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই।
ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় মহানগরীও জেলা জামায়াতের বিভিন্ন থানার শৃঙ্খলা বিভাগের অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় শাবিতে বিক্ষোভ
সারাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে প্রায় সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশে ধর্ষণ এবং মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হল এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী হলের সামনে যান। পরে ওই দুই হলের শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন।
এসময় তাদের ধর্ষণবিরোধী এবং ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে 'সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে', 'ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই', 'তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া', 'তোমার বোন আমার বোন, আছিয়া আছিয়া' স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে রাত সোয়া ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে গোল চত্বর হয়ে মুক্তমঞ্চের দিকে যান। এ সময় প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেন। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ গঠনের ঘোষণা দেন।
ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার লুবনা বলেন, 'মূলত, ইন্টেরিম সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিনের পর দিন নারীর জানমালের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। পূর্বে নারীর প্রতি সব সহিংসতা রূপ নিয়েছে আজকের আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায়। কিন্তু এই ঘটনা তো নতুন না। কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছি এক ধর্ষক মুক্তি পেয়েছে। নারীদের প্রতি এই সমাজ কেবল সহিংসতাতেই থামছে না; আমরা দেখছি এই রাষ্ট্র নারী নিপীড়কদের পালে হাওয়া দিচ্ছে। আছিয়ার জন্য আমরা বিচার চাই। আমরা বিচার চাই আনোয়ারা রোডের পাশে পড়ে থাকা ধর্ষিত অজ্ঞাত ওই নারীর জন্য। বিচার চাই সেই সকল নারীর জন্য- যারা বিচারহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে সম্প্রতি ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং দ্রুত ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে সিলেটের সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ। রোববার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।