পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান সাইদ আসিম মুনিরকে চিঠি লিখেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিঠিতে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান সোমবার আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিঠিতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসাও করেছেন। সেনাপ্রধানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, বরং দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইমরানের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক ব্যক্তি বা কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিচালিত হয়। ডন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে থানায় সালিশ বৈঠকে মারামারি-ভাঙচুর, আটক ৬
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোলঘরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে সালিস বৈঠকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেনবাগ থানা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আবু তালেবের সাথে তার চাচাতো ভাইদের পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার সেনবাগ থানা গোলঘরে সালিসি বৈঠকে বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার একজন কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয়পক্ষের সালিসদারেরাও উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠক চলাকালে বিবাদমান দুইপক্ষ বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে একপক্ষ অপরপক্ষের সাথে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তারা থানার গোলাঘরের কাঁচ ভাঙচুর করেন।
পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল ফারুক বলেন, “বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাক্কা দেয়। এতে গোলঘরের কাঁচ ভেঙে যায়।”
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সেনবাগ থানার ওসি এসএম মিজানুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।”