ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ: কলেকশিক্ষক মুকিবসহ ৫ জন কারাগারে
Published: 4th, February 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় কলেজশিক্ষক মুকিব মিয়াসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন— যুবলীগের সদস্য কপিল হালদার সজল, মতিঝিল থানা যুবলীগের সদস্য কেএম সাইফুল খান, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হাফিজ ও নিষিদ্ধ সংগঠন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম লাভলু।
মুকিব নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক কেএম রেজাউল করিম। তাদের পক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন। তারা লিফলেট বিতরণ, স্লোগান, মিছিল দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে জনগণের সম্মুখে কালো আইন বাতিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছে। ঘটনার দিন আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ করেছে। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় পুনরায় হামলা ইসরায়েলের ‘ভুল’ পদক্ষেপ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু করাকে তিনি ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের দখলকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছেন। খবর আনাদোলুর।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল), ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১৩ জন সিলেক্ট কমিটির সভাপতির প্রশ্নের জবাবে সংসদীয় যোগাযোগ কমিটিকে বলেন, “আমি মনে করি দখল অবৈধ। ব্রিটিশ সরকার বরাবরই এই নীতিতে বিশ্বাসী।”
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ওষুধ আমদানির ওপর ‘বড়’ শুল্ক আরোপ করবে: ট্রাম্প
বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, “আমার মতে, শত্রুতা পুনরায় শুরু করা ভুল।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ফিরে যেতে হবে। সাহায্য আনতে হবে। জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ভূমিকা প্রয়োজন।” তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় বলে অভিহিত করেছেন।
তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় যোগাযোগ কমিটিকে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং’।
তিনি বলেন, “আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং বিশ্বজুড়ে খুবই চ্যালেঞ্জিং।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, মার্কিন শুল্ক আরোপের ঘটনায় তিনি ‘হতাশ’। তিনি মনে করেন না যে, এটি দেশের অর্থনীতির জন্য বা বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির জন্য ভালো।
তবে তিনি আরো বলেন, “বিকল্প উপায়গুলো আমাদের আলোচনার টেবিলে রাখা উচিত এবং প্রয়োজনে প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ করা উচিত।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘটনায় বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। তবে তিনি এটিকে একটি ‘অস্থায়ী ক্ষণস্থায়ী পর্যায়’ বলেই মনে করেন।
স্টারমার বলেন, “দুটি জিনিস করা প্রয়োজন। প্রথমটি হলো আমাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, আরো দ্রুত এবং আরো অনেক কিছু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যের বাধা কমানোর বিষয়ে আমাদের অন্যান্য সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে।”
ঢাকা/ফিরোজ