সিদ্ধিরগঞ্জে যৌতুক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসাাম সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগ নেতা মো: ইব্রাহিম (৪১) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল হাবিবউল্লাহ টাওয়ারের সামনে থেকে তার স্ত্রী রেহেনা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামীলীগ নেতা মো: ইব্রাহিম সোনারগাঁয়ের বেলর এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় ২ নম্বর গলিতে অর্গানিক শপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

জানা যায়, পদ-পদবী না থাকলেও সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাতের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সে। একসময় নুন আনতে পানতা ফুরালেও বর্তমানে তিনি বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক।

যোগাযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ সেলিমের সাথে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। 

ইব্রাহিমের স্ত্রী রেহেনা জানান, ২০০৮ সালে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে ১৫ বছর বয়সী একজন ছেলে এবং ৮ বছর বয়সী একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। গত দেড় বছর ধরে সে ছেলে-মেয়ে সহ আমার কোন খোঁজ-খবর এমনকি ভরণ-পোষন দিচ্ছে না। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’

ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।

‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।

একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’

এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।

মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীর প্রতিবাদ
  • রোজার দিনে কড়া রোদে দীর্ঘ অপেক্ষা
  • ‘ধর্ষককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করুন’
  • রূপগঞ্জে প্রবাসীদের গাড়ীতে ডাকাতি: ২ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৫
  • আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা
  • ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে লন্ডনের বিগ বেন টাওয়ারে ওঠা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
  • ট্রাম্পকে যারা ভোট দিয়েছিলেন চাকরিচ্যুত করলেন তাদেরও
  • যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কত দূর যেতে পারেন
  • ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’