অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আট শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং ২৭ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর পরিচালক (ডিএসডাব্লিউ) অধ্যাপক ড.

এ কে এম মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “বুয়েটের অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা ৪১টি মিটিং করেছেন। এরপর তারা উপাচার্যকে একটি প্রতিবেদন দেন। সেখানে কিছু সুপারিশ করা হয়। এরপর সেটি শৃঙ্খলা কমিটিতে উত্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তবে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়েও এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে গত ৫ আগস্টের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দেওয়া তথ্য মতে, আটজনকে আজীবনের জন্য এবং ১২ জনকে ৪-৬ টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সাতজনকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বাইরে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন।

ছয়জনকে দুই টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাদের এ শাস্তি স্থগিত থাকবে। তারা স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা যদি আবারো বুয়েটের অর্ডিন্যান্সের কোন ধারা লঙ্ঘন করেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে এ শাস্তি অর্থাৎ দুই টার্ম বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে। বাকি ২৭ জনকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সতর্ক করা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এহতেসাম-উল হক মাউশির নতুন ডিজি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক এহতেসাম-উল হক। তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুব আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে তাঁর নিয়োগে ফাইল অনুমোদন হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় অবসরোত্তর ছুটিতে যান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। এরপর থেকে পদটি ফাঁকা ছিল।

সরকার পরিবর্তনের পর ২১ আগস্ট মাউশির মহাপরিচালকের পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এরপর মাউশির রুটিন দায়িত্ব পান অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পরে তাঁকে মহাপরিচালক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে, একই দিনে মাউশির গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও ক্রয় উইংয়ের পরিচালক পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ পদে পদায়ন পেয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা গোপীনাথ পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের গণিতের অধ্যাপক।

নায়েমের নতুন ডিজি অধ্যাপক জুলফিকার হায়দার

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক জুলফিকার হায়দার। তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। রোববার তাঁকে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে একই দিনে নায়েমের উপপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবু সাঈদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
  • জামায়াত কর্মী হত্যার ১২ বছর পর আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
  • ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
  • ৯ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে বরিশাল
  • ধাক্কা সামলে শামীম ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল চিটাগং
  • স্বপ্ন সত্যি হয়েছে: সায়রা
  • হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল 
  • ম্যানসিটিকে উড়িয়ে রাইসের হুংকার: লিভারপুলকে পেছনে ফেলব   
  • এহতেসাম-উল হক মাউশির নতুন ডিজি