রাবিতে কোরানের পোড়ানোর ঘটনায় আটক ১
Published: 4th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দোষীর নাম-পরিচয় এবং কোন থানায় আছে এ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
উপাচার্য ফেসবুক লেখেন, “পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ ঘটনার মূল সন্দেহভাজন এখন পুলিশ কাস্টোডিতে। আলহামদুলিল্লাহ। আমরা যথাসময়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। আমাদের তদন্ত কমিটি অসাধারণ কাজ করেছে।”
তিনি আরো লেখেন, “অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের, যাদের সহযোগিতা ছাড়া ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার ভেতর আমাদের তদন্ত কমিটি সন্দেহভাজন সনাক্ত করতে পারত না। অসংখ্য ধন্যবাদ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে যারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।"
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ পোস্টের দোষীর পরিচয় প্রকাশ না করায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। দোষী নাম পরিচয় জানতে চাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “যতটুকু বলা সম্ভব তা জানিয়েছি। এ মুহূর্তে আর বলার কিছু নেই। এগুলো আমাদের হাতে নেই।”
গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক হলে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল। এ বিষয়ে সেদিনই নয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাসিনা আমলের প্রথম গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১০ সালে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম গুমের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর আসামিরা হলেন—অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল, কর্নেল মো. মুজিবর, র্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও বরখাস্ত) রিয়াজুল ইসলাম, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মেজর এরশাদ, র্যাব-২ এর তৎকালীন উপ-অধিনায়ক খান মো. আকতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন ও নিসার উদ্দিন আহমেদ কাজল, কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান হুজুর, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের সেক্রেটারি আব্দুল বাসেত মাস্টার, ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেটের সভাপতি শাহজাহান খান, ফুলবাড়ীয়া বঙ্গ কমপ্লেক্সের সভাপতি মো. শাহজাহান, মীর আল মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ফুলবাড়ীয়া টার্মিনাল সংলগ্ন মার্কেটের উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ অজ্ঞাত অনেকে।
২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কাছে চৌধুরী আলমকে তার গাড়ি থেকে বের করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। সে সময় তিনি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর (বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর) ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।
২০১০ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হলে আদালত পুলিশ ও সরকারকে দ্রুত চৌধুরী আলমকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম গুম হওয়ার পর জিডি করলেও তা আর কার্যকর হয়নি সে সময়।
ঢাকা/মামুন/রফিক