কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারির সঙ্গে মহানগর যুবদলের সাক্ষাৎ
Published: 4th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থিত যুবদলের কার্যালয়ে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
দলীয় সিদ্ধান্তকে মানতে হবে আর আর দলের বদনাম হবে এমন কোন কাজ করা যাবে না। আর যারা রাজনীতি করবা তাদের মধ্যে রাজনীতি কালচার তাদের মধ্যে থাকতে হবে।
আর ওয়ার্ড ও থানা যুবদলের কর্মী সম্মেলন বিষয়টি ক্লিয়ার করে তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ নির্বাচনের আগে আমাদের সকল ইউনিটের কমিটি গঠন করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মী সম্মেলন করবে। যুবদলের কর্মীদের নিয়েই সম্মেলন করতে হবে।
আর কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বকে বাছাই করে নিতে হবে। ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলনের পরে থানার কর্মী সম্মেলন। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়ার্ড ও থানা কর্মী সম্মেলন শেষ করে মহানগর যুবদলের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
শুভেচ্ছা উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল সদস্য সচিব সাহেদ আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন,জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ ন র ল ইসল ম য বদল র ক কম ট র স র রহম ন র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে র্যাব পরিচয়ে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুট, ডাকাত বশির গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ভুয়া র্যাব পরিচয়ে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুটের ঘটনায় কুখ্যাত ডাকাত মো. বশির আহমেদ (৫২) গ্রেপ্তার হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিএসসি’র কোম্পানি কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন।
সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন জানান, গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে কুমিল্লার বুড়িচং থানার আরাগ আনন্দপুর গ্রামের প্রবাসী আবু হানিফ (৩৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসী রাজিব ভূঁইয়া (৩৫) দুবাই থেকে দেশে ফেরেন।
ডলার ভাঙানোর পর দুপুরে এশিয়া লাইন বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হলে বন্দর থানাধীন কেওডালা এলাকায় একটি সাদা রঙের হাইয়েস গাড়ি বাসের গতিরোধ করে।
র্যাবের কটি পরিহিত ৩/৪ জন ব্যক্তি বাসে উঠে নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কথা জানায়। এরপর জোরপূর্বক তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে হাইয়েস গাড়িতে তুলে মারধর করে এবং নগদ ২১, লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ান পাউন্ড, মোবাইল ফোন, পাসপোর্টসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন মোংলা গ্রাম থেকে কুখ্যাত ডাকাত মো. বশির আহমেদকে র্যাব-১১ ও র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবরে এই কর্মকর্তা আরও জানান, বশির আহমেদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় ভুয়া র্যাব পরিচয়ে দস্যুতার মামলা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতির দুটি মামলা, ডিএমপির শাহজাহানপুর থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা, ঝালকাঠি সদর থানায় ডাকাতির মামলা এবং দাউদকান্দি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার ডাকাত বশির আহমেদকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।