Samakal:
2025-04-19@03:01:35 GMT

মেসির অনুবাদক ছিলেন রোনালদো!

Published: 4th, February 2025 GMT

মেসির অনুবাদক ছিলেন রোনালদো!

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল চরমে। মাঠের লড়াইয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর দু’জন গোলের জন্য, শিরোপার জন্য ও পুরস্কারের জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করেছেন। তবে দু’জনের মধ্যে সম্মানবোধ অক্ষুন্ন ছিল। এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন রোনালদো।

দু’জন একসঙ্গে ১৫বার ব্যালন ডি’অরের মঞ্চ ভাগাভাগি করেছেন। অনুষ্ঠানে পাশাপাশি বসেছেন। টুকটাক কথা বলেছেন। সেই স্মৃতি হাতড়ে রোনালদো জানিয়েছেন, ইংরেজি না জানা মেসির অনুবাদকের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

রোনালদো বলেন, ‘মেসির সঙ্গে স্বাস্থ্যকর দৌরাত্ম্য ছিল। কখনোই তার সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমরা ১৫ বছর পুরস্কারের মঞ্চ ভাগাভাগি করেছি। সবসময় সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলেছি। আমার মনে পড়ে, তার জন্য ইংরেজি অনুবাদও করে দিয়েছি। এটা সত্যিই মজার স্মৃতি।’

রোনালদো তার সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, দু’জন সবসময়ই দু’জনার ক্লাব, জাতীয় দলকে সবচেয়ে আপন ভেবে খেলেছেন। এটা তাদের দু’জনকেই আরও শানিত হতে সহায়তা করেছে। এমন অনেক বছর ছিল, যেখানে সে সব ম্যাচ খেলতে চেয়েছে, অনেক গোল করতে চেয়েছে, সবকিছু জিততে চেয়েছি। আবার আমিও একই কাজ করেছি। ক্যাম্প ন্যুতে আমাকে তিরস্কার করা হতো, তারপরও আমি সেখানে খেলতে পছন্দ করতাম।’

রোনালদো তার দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারে স্পোর্টিং সিপি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই মেয়াদে, জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ ও আল নাসরে খেলেছেন। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে হৃদয়ের ক্লাব বলে উল্লেখ করেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। আমি রিয়ালেই সবচেয়ে ভালো ছিলাম। দারুণ মুহূর্ত সেখানে কাটিয়েছি, যে কারণে ভক্তরা আমাকে মনে রাখবে।’    
  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে, বংশের প্রথম প্রদীপ

নতুন বছরের প্রথম সূর্যটি যখন পুবের আকাশে ফুটে উঠল, এর কিছুক্ষণ পরই ঠিক ভোর ৬টায় পটুয়াখালীর শাহীন-জোহরা দম্পতির ঘর আলোকিত করে এলো এক ফুটফুটে অতিথি। এ দম্পতির কোলজুড়ে প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ায় বাবা-মা, দাদা-দাদী, নানাসহ পুরো পরিবার আনন্দিত, উদ্বেলিত। নতুন অতিথিকে নিয়ে নানান স্বপ্ন বুনছেন তারা।

শাহীন খাঁ এইচএসসি ও জোহরা বেগম এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও তাদের সচেতনতার কোনো ঘাটতি নেই। তাদের সংসারে অর্থের অভাব থাকলেও অভাব ছিল না সুখের। এক বছর আট মাস আগে বিয়ে হয় তাদের। শাহীন নিজ এলাকায় ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে যা পান তাতেই সন্তুষ্ট তারা। প্রথম সন্তানটিকে সুস্থ ও পুষ্ট রাখতে এবং সন্তানের মাকে শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে যা যা করণীয় তার সবটুকু দায়িত্ব পালন করেছেন শাহীন। স্ত্রীর গর্ভে সন্তান ধারণের পর থেকে শত কষ্টের মাঝেও সংসারের অভাব বুঝতে দেননি স্ত্রীকে। একদিকে স্ত্রী গর্ভবতী, অন্যদিকে বছরখানেক ধরে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছেন। পুরো সংসারের বোঝা এসে পড়ে শাহীনের মাথার ওপর। দিন-রাত পরিশ্রম করে সংসারের চাকা সচল রাখেন। এরপর বছরের প্রথম দিনের প্রথম প্রহরেই তাদের অভাবের আঁধারে জ্বলে উঠলো আলোর প্রদীপ।

পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে ৪৪ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এবং বাউফল উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে সূর্য্যমনি ইউনিয়নের দক্ষিণ সূর্য্যমনি এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন খাঁ ও গৃহিণী  কোহিনুর বেগমের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শাহীন সবার বড়। এইচএসসি পাস করার পর শাহীনের আর লেখাপড়া হয়নি। সংসারের হাল ধরতে এলাকায় শুরু করেন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ। এক বছর আট মাস আগে ২০২৩ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে একই উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের চুন্নু হাওলাদার ও মমতাজ বেগমের মেয়ে জোহরার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্ত্রীর গর্ভে সন্তান ধারণের পর শাহীন-জোহরা দম্পতির স্বপ্ন ছিল একটি সুস্থ ও সুন্দর সন্তান যেন হয় তাদের। হোক ছেলে কিংবা মেয়ে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ছিল না কোনো মাথাব্যথা। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তারা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের পরপরই ভোর ৬টায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতির পুত্র সন্তান হয়েছে। এটি ছিল স্বাভাবিক প্রসব। শিশুটির ওজন হয়েছিল ৩ দশমিক ২ কেজি। মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছে। সন্তান প্রসবের ঘণ্টাখানেক পরই তারা বাড়ি চলে যান। রোববার রাত ১২টার দিকে এ প্রসূতিকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। বছরের প্রথম দিন ভোরে সন্তান জন্ম দেওয়ায় হাসপাতাল থেকে প্রসূতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

নতুন অতিথির মা জোহরা বেগম বলেন, ‘এ সময়টায় আমার দিকে তাঁর (স্বামী) সবসময় খেয়াল ছিল। সন্তান ও আমি দু’জনে যাতে সুস্থ থাকতে পারি সবসময় সে দিকে নজর রেখেছেন উনি। চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখ ছিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন। ওইদিন  রাত ১২টার দিকে প্রসব-যন্ত্রণা শুরু হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যাই এবং ভোর ৬টায় সন্তান প্রসব হয়। ঘণ্টাখানেক পর আবার বাড়ি চলে আসি। কোনো সমস্যা হয়নি। ডাক্তার-নার্স সবাই আন্তরিক ছিলেন, যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।’

নবজাতকের বাবা শাহীন খাঁ বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম দিনের ভোরে আমি বাবা হতে পেরে আনন্দিত এবং গর্বিত। প্রত্যেক বাবা-মা’রই তাঁর সন্তানকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকে, স্বপ্ন থাকে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। আমাদেরও এ সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আছে, প্রত্যাশা আছে। আমি চাই, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এ ছোট্ট সন্তানকে সুস্থ রাখুক, ভালো রাখুক। ভবিষ্যতে সে যেন ভালো মানুষ হয়, সুশিক্ষিত এবং দেশের সুনাগরিক হতে পারে’।  

দাদী মমতাজ বেগম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে। আমরা সবাই খুশি ও আনন্দিত। বছরের প্রথম দিনটিতে খুব ভোরে আমার বংশের প্রথম প্রদীপ আসায় আমরা সবাই মহাখুশি। নাতি ও বউ মা ভালো আছে ও সুস্থ আছে। অনেক অনেক শুকুর আল্লাহ পাকের কাছে। আপনারা আমার নাতির জন্য দোয়া করবেন।’ 

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, নতুন বছরের ভোরের সূর্যোদয়ের পরপরই এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন। এটি সত্যিই তাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের খবর। তারা শিশুর মাকে অভিনন্দন ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো উপহার দিতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বুঝে উঠতে পারিনি বছরের এমন একটি দিনে আমার প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হলে কিছু উপহার দিতে হয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারাদেশে অভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ
  • আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে, বংশের প্রথম প্রদীপ