বিয়ে করতে যাওয়ার সময় বরপক্ষের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৪
Published: 4th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিয়ের করতে যাওয়ার সময় বরের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বরপক্ষের ৪ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আরও দুজন হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের অলি মিয়ার বাড়িতে এ হামলা চালায় মনাক মিয়া ও তার বাহিনী।
এ ঘটনায় রাতে আহত অলি মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম মনাকসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেছেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) ওবায়দুর রহমান, নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- অলি মিয়া (৫০), তার বড় ভাই খলিল মিয়া (৬০), ছোট ছেলে আসিফ মিয়া (১৬) ও ভাগনে নাছির মিয়া (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড়িকান্দি গ্রামে অলি মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়ার বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা একে একে আসছিলেন। এমন সময় নূরজাহানপুর গ্রামের মনাক মিয়ার নেতৃত্বে তার বাহিনী সেখানে হামলা চালায়। মনাক বাহিনীর গুলিতে আহত হন ৪ জন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শুনেছি। গুলিবিদ্ধ অলি মিয়াসহ চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, ‘হামলার পর অলি মিয়ার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত।’
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মনাকের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতি, হত্যাসহ বহু মামলা রয়েছে। ঘটনার পর তাকে ধরতে অভিযান চালিয়েছ পুলিশ। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।