হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে রেজা রিপনের জয়
Published: 4th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে একাই জিতেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন।
সোমবার হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের নিবার্চনে ১৮টি পদের মধ্যে বদিউজ্জামান বদুর নেতৃত্বাধীন প্যানেল ১৭টিতে জয় পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম প্যানেল থেকে সাধারণ গ্রুপ একমাত্র ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন নির্বাচিত হয়েছেন।
আর দিবাগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানি। হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ আর অ্যাসোসিয়েট গ্রুপের ১৮ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সাধারণ গ্রুপে ১২টি পদ এবং অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে ৬টি পদে লড়াই হয়।
বদিউজ্জামান বদু প্যানেল ১৮টি পদে প্রার্থী দিলেও ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম ১৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
নির্বাচনে সাধারণ গ্রুপের ১২টি পদে নির্বাচিতরা হলেন, বদিউজ্জামান বদু, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মো.
অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদ আহম্মেদ স্বপন, নাছির শেখ, নাছিম আহম্মেদ, অনিল সাহা, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম হিরু শেখ।
আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে পরাজিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, মো. মাসুদ রানা, মো. নাজমুল হক, দিদার খন্দকার।
গত ৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৮ জানুয়ারি প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বরসহ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ৩ ফেব্রয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।