ডিজিটাল রাইটস, ইন্টারনেট গভর্নেন্স, অনলাইন ফ্রিডমসহ ইন্টারনেট সম্পর্কিত ‘ড্রেপ্যাক ডিজিটাল রাইটস কনভেনিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রগ্রেসিভ কমিউনিকেশনস (‌এপিসি) ও এনগেজমিডিয়ার সহযোগিতায় ডিজিটালি রাইট লিমিটেড এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এটি ডিজিটাল রাইটস এশিয়া-প্যাসিফিকের (ড্রেপ্যাক) জাতীয় পর্যায়ের তৃতীয় সম্মেলন।

সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী, নীতিনির্ধারক, মিডিয়াকর্মী, আইন বিশেষজ্ঞ, একাডেমিক, শিল্পী এবং বেসরকারি প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে আইসিটি বিষয়ক নীতিনর্ধারণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অনলাইন নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মিসইনফরমেশন বিষয়ে আলোচনা হয়।

‘টুয়ার্ডস এ ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ডিজিটাল স্পেস’ শীর্ষক উদ্বোধনী সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড.

ইফতেখারুজ্জামান, আই-সোশ্যাল লিমিটেডের চেয়ারপার্সন ড. অনন্য রায়হান, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বক্তব্য দেন।

এপিসির এশিয়া ডিজিটাল রাইটসের প্রধান পভিত্রা রামানুজাম সেশনটি পরিচালনা করেন। সম্মেলনে মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল নীতির প্রয়োজনীতায় জোর দেওয়া হয়।

‘অ্যাড্রেসিং ইন্টারনেট গভর্নেন্স থ্রু ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি’ শীর্ষক আলোচনায় উন্মুক্ত ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চয়তায় সরকার ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।

এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, টেলিনর এশিয়ার জোহান মার্টিন সিল্যান্ড, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শেয়ারট্রিপের সিইও সাদিয়া হক। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন অ্যাকসেস নাও-এর রমন জিৎ সিং চিমা।

ডিজিটালি রাইট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী সেশনটি পরিচালনা করেন।

‘ফ্রি এক্সপ্রেশন অ্যান্ড অনলাইন সেফটি– ইমপ্লিকেশনস অব দ্য সাইবার প্রটেকশন অর্ডিন্যান্স অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক সেশনে আইন বিশেষজ্ঞ ও অ্যাকটিভিস্টরা বাকস্বাধীনতা ও ডিজিটাল রাইটসের সাম্প্রতিক আইন প্রণয়নের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

এখানে আলোচক হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- আইসিটি সমন্বয় ও সংস্কারের পলিসি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভের (জিএনআই) উসামা খিলজি এবং দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শহিদুল আলম।

এনগেজমিডিয়ার সিনিয়র ম্যানেজার (যোগাযোগ) সারা পাসিয়া সেশনটি পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ডিজিটালি রাইটের টেক পলিসি ফেলোদের কাজ নিয়েও আলোচনা করা হয়। ফেলোরা ডিজিটাল রাইটস রক্ষায় নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ডিজিটাল রাইটসের বিভিন্ন অংশীজনের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সম্মেলনে অনলাইন ফ্রিডমের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্মুক্ত ও টেকসই ডিজিটাল পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এপিসি, এনগেজমিডিয়া এবং ডিজিটালি রাইটের প্রতিনিধিরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল র ইটস র ড জ ট ল র ইট ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাদ দিয়ে নতুন বছরের শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

বর্ষবরণের আয়োজন নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কথা বলেন চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম। তিনি শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেন।

আজহারুল ইসলাম  বলেন, “সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা হবে আনন্দময়।”

আরো পড়ুন:

কিরিবাতি থেকে বাংলাদেশ, পঁচিশের বর্ণিল বরণ

নববর্ষ: বিবিধ ভাবনা

এবারের বর্ষবরণে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে; শোভাযাত্রাটি ‘সবার হয়ে উঠবে’, এমনই মনে করছেন আয়োজকরা।

'মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি বদল করার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল সেটি এবার থাকছে না। এই ধারাবাহিকতায় নতুন বাংলা বছর শুরুর তিন দিন আগে বদলে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোভাযাত্রাটির নাম।

২৩ মার্চ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানোর আভাস দিয়েছিলেন।

বিষয়টি সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে নাকি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। 

এর আগে তার দেওয়া ব্ক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ