সঙ্গীত জগতে এগিয়ে যাচ্ছেন এস এম মিঠু
Published: 4th, February 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর গীতিকার মোস্তফা কামালের কথায় একের পর এক ধামাকা নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সোনারগাঁয়ের ছেলে তরুন কন্ঠশিল্পী এস এম মিঠু । সর্বশেষ ঢং এর বিয়াইন শিরোনামের একটি গান দিয়ে প্রশংসার কুড়াচ্ছেন তিনি।
নতুন গান এবং নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এস এম মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর আমার ধামাকা কিছু নতুন গান আসছে । আশা করি, বরাবরের মতোই এবারের গানগুলো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। ইচ্ছে আছে গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ভালো ভালো গান উপহার দেওয়ার।ইতিমধ্যে বেশ কিছু গানের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রতিটি গানের কথা ও সুর করেছেন গীতিকার মোস্তফা কামাল ভাই। সবসময় যারা ভালোবেসে আমার গানগুলোকে মনের গভীরে স্থান দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সকল প্রিয় মানুষদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, এভাবেই সবসময় আমাকে মনের মণিকোঠায় রাখবেন।’
এর আগে এস এম মিঠুর উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘বেইমান মেয়ে’, ‘আহারে আমার কি ভাগ্য’, ভালোবাসার দিলি কবর'তুই আমারে বুঝলিনা বেইমান 'ভুলতে তোরে চাই' তোরে কত ভালোবাসি বেইমান, সব দোষেরই দোষী আমি, ঢং এর বিয়াইন ’সহ আরও কিছু গান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং মর্যাদা রক্ষার লড়াই
ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বাধীনতার বীজ বোনা হয়েছিল রক্তস্নাত চেতনার ভূমিতে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তার সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। এটি ছিল বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করার পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। এই আন্দোলন বাঙালির মধ্যে একতার শক্তি এবং জাতীয় চেতনা জাগিয়ে তোলে, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি রচনা করেছিল।
মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ বাঙালি হৃদয়ে অনুরণিত হয়েছে সবসময়। এ ভাষার আড়ালে যে হারানোর বেদনা, তা প্রতিটি লেখকসত্তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করেছে। ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে সাহিত্যের একটি ব্যাপক পরিসর গড়ে উঠেছে। একুশের কাহিনি আবেগে অমোঘ, বিশ্বাসে অনন্য।
আমাদের জীবনে একুশের অনির্বাণ চেতনা চিরজাগ্রত রাখতে একুশ সম্পর্কিত পাঠ ও গবেষণা চালু রাখা জরুরি। অমর একুশ নিয়ে অজস্র গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও সাহিত্য রচিত হয়েছে। আজ আমার দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়েছে এম আর আখতার মুকুলের ‘একুশের দলিল’ বইটির দিকে। ভাষা আন্দোলনে লেখকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নিজ অভিজ্ঞতার বয়ান বইটিকে দালিলিক মর্যাদা দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন দিক, তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন যে কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না বরং এটি জাতির সাংস্কৃতিক ও মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল, তা বইতে বেশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি কীভাবে সারাবিশ্বে ভাষার অধিকারের সংগ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়। ভাষার ওপর আঘাত এলে শুধু ভাষাগত নয়, তা একটি জাতির অস্তিত্ব ও আত্মসম্মানকে চ্যালেঞ্জ করার সমান। ‘একুশের দলিল’ ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য এবং ইতিহাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই সময়কার সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করেছে। প্রতিবাদের ভাষাও আমরা শিখি একুশ থেকে। একজন শিক্ষক হিসেবে তাই একুশের বহুল পাঠ ও এ সম্পর্কিত গবেষণার তাগিদ অনুভব করি সবসময়। একুশ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকুক যুগ যুগ ধরে।