চিটাগং ফাইনালে উঠলে বোলিং করতে পারবেন সানি?
Published: 4th, February 2025 GMT
চিটাগং কিংসের স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে রিপোর্ট করেছেন আম্পায়াররা। এতে করে তাকে ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে অ্যাকশন যাচাই করে নিতে হবে।
১ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচের পর তার অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট করা হয়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে চিটাগং ফাইনালে ওঠে তাহলে কি সানি খেলতে পারবেন?
বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন ফাইনাল যেহেতু ৭ দিনের আগেই তার খেলতে কোনো সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুন:
বিপিএলে ফিক্সিং: বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের স্বাধীন কমিশন গঠন
৯ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে বরিশাল
“ত্রুটি ধরার পরদিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে। ফাইনাল যেহেতু আগে পড়েছে খেলতে কোনো সমস্যা হবে না।’’
প্রায় ৯ বছর পর সানির অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তার বোলিং অ্যাকশনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল।
চলতি আসরে সানি চিটাগংয়ের হয়ে ৯ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ নেন ৩ উইকেট।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল অ য কশন
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।