ইতালির নাগরিককে জিম্মি করে ছিনতাই: দুই জন কারাগারে
Published: 4th, February 2025 GMT
রাজধানীর তুরাগে উবার চালকের যোগসাজশে ইতালির নাগরিককে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের মামলায় দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়া।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তুরাগ থানা পুলিশ ওই দুজনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত রোববার ভোরে তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার সার্ভিসের মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানাধীন ১৯ নম্বর সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। মোটরসাইকেলের চালক তানিয়াকে হোস্টেলে না নিয়ে তুরাগ ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে নিয়ে ভয় দেখিয়ে পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় তানিয়া তুরাগ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
০–৩ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রিয়াল কি পারবে পরের রাউন্ডে যেতে
রিয়াল মাদ্রিদের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু? ক্লাবটির সমর্থকদের কথার সুর অনেকটাই এমন—আরে ফিরতি লেগ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আর রিয়াল তো ঘুরে দাঁড়ানোর রাজা! প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারলেও তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই!
কিন্তু আনচেলত্তির কথায় জোর নেই। স্বয়ং রিয়াল মাদ্রিদ কোচই হয়তো খুব একটা আশা দেখছেন না। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে আর্সেনালের কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। ফিরতি লেগ আগামী বুধবার রাতে রিয়ালের মাঠ বার্নাব্যুতে।
আরও পড়ুনবেন্ড ইট লাইক রাইস: এ ঘোর যেন কাটে না৪ ঘণ্টা আগেবার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোর রাত উপহার দেওয়ার অনেক ইতিহাস আছে রিয়ালের। তবে এবারের চ্যালেঞ্জটি বেশ কঠিন। পাশাপাশি আনচেলত্তির খেলোয়াড়েরাও তেমন একটা ছন্দে নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের জালে এমনিতেই গোল নেই রিয়ালের। ২০০৬ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ও সর্বশেষ মুখোমুখিতে রিয়ালের হারে দুই লেগে স্কোরলাইন ছিল ১-০ ও ০-০। প্রায় দুই দশক পর কাল রাতের মুখোমুখিতেও গোল পায়নি রিয়াল। আর্সেনালের ১১ শটের বিপরীতে আনচেলত্তির ছাত্ররা গোলে শট রাখতে পেরেছে মাত্র ৩টি। ভাগ্য ভালো, কোর্তোয়া চার-পাঁচটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। নইলে রিয়ালের হারের ব্যবধান আরও বাড়ত।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তির কথায় তাই তেমন জোর পাওয়া গেল না। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ঠিকই ঝরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই কোচের কণ্ঠে, ‘সাধারণত দলটি ম্যাচের শেষ দিকে খেলার ধার বাড়ায়। এটা হতাশার ও বাজে। আমাদের নিজেদের ভুলগুলো দেখতে হবে এবং পরের সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়াতে যা যা করা সম্ভব করতে হবে।’
বেলিংহামের বিষন্ন মুখই বলে দিচ্ছে রাতটা মোটেও ভালো কাটেনি রিয়ালের