রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ কিশোরী আরাবি ইসলাম সুবাকে নওগাঁ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।  

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ শহরের আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী।  

ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‍“ঢাকা থেকে সুবা মিসিং হয়েছে এমন একটি তথ্য আমাদের কাছে ছিল। সুবা নওগাঁয় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়া এলাকায় সুবার কথিত প্রেমিক মুমিনের বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে মুমিনের বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, সুবা তাদের কাছে রয়েছে। এরপর পাশের বাড়ি থেকে সুবাসহ মুমিনকে আটক করে পুলিশ এবং র‍্যাব-৫। এরপর তাদের দুইজনকে র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে নেওয়া হয়।” 

আরো পড়ুন:

রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বখাটের হেনস্তা, বাউফলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঝালকাঠিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ 

ওসি আরো বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় সুবা স্বীকার করে, টিকটকের সুবাদে তাদের দুই জনের পরিচয় হয়। তবে এবিষয়ে আমাদের বেশি কিছু জানা নেই। পরবর্তীতে তাদের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদাদের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।”

ঢাকা/সাজু/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্বপ্ন সত্যি হয়েছে: সায়রা

টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।

সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার  স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’ 

শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি  কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’

হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’  

বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন। 

গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিনয়ে ধীরগতি, যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন এই নায়িকা
  • বিভিন্ন অপরাধে বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
  • লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
  • লিফলেট বিতরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটক ২
  • জামায়াত কর্মী হত্যার ১২ বছর পর আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
  • ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
  • ৯ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে বরিশাল
  • ধাক্কা সামলে শামীম ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল চিটাগং
  • স্বপ্ন সত্যি হয়েছে: সায়রা