ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আল মুকাদ্দাস।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আর কত অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে?’, ‘ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাস ভাইদের সন্ধান চাই’, ‘ভাইদের উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে’, ‘আমার ভাইদের ফিরিয়ে দিন অথবা তাদের লাশের সন্ধান দিন’, ‘আর কতদিন পথ চেয়ে বসে থাকবো, সন্তানের লাশটাও কি পাব না- তাদের মা’, ‘এখনো অপেক্ষায় আছে আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ভাইয়ের মা’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ওয়ালিউল্লাহ এবং আল মুকাদ্দাসকে গুম করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর বিগত সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়নি। সরকার পতনের পর গুম হওয়া অনেকে ফিরে এলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। এ সময় অন্তর্বর্তী  সরকারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আল ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিস বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম রাফি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট চলে গেছে। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইকে ফিরে পাব। কিন্তু তা না পেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের এই দুইভাই কি কারণে এবং কোথায় গুম করা হয়েছে, সবকিছু উদঘাটন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, আমাদের ভাইদের সন্ধান দিন নইতো তাদের কবরের সন্ধান দিন।”

গত ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী (হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৭৫০ নম্বর) বাসে যাওয়ার পথে তারা একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন। বাসটি সাভারের নবীনগর এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৮-১০ জন আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যান।

মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ক্যাম্পাসে না ফেরায় তাদের বন্ধুরা পরিবারকে জানান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ম ক দ দ স সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে শহরে মানববন্ধন 

ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত অধিকার অক্ষুন্ন রেখে পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জেলা পর্দানশীল নারী সমাজ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এই কর্মসূচী পালন করেন অর্ধ শতাধিক পর্দানশীল নারী।

মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে অধিকার প্রতিষ্ঠার ৩ দফা দাবিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। 

পর্দানশীল নারী সমাজের পক্ষে জেলা সদরের ফতুল্লা থানার সিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার মিসেস আব্দুল লতিফ, আহম্মেদ মুক্তা, রিতা আক্তার, মুহম্মদ ফজলুল করিম এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।


মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলতে পর্দা করা ও ছবি তুলতে অসম্মতির কারণে পর্দানশীল নারীরা গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন না।  

ফলে ব্যাংক লেনদেন, নমিনি, পেনশন, সরকারী ত্রান সহায়তা ও জমি-ক্রয়-বিক্রয় সহ সব ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকেও ১৬ বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন তারা। 

পর্দানশীল নারীদের অভিযোগ, শিক্ষিত হয়েও তাদের মানবাধিকার হরণ সহ সমাজে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাই পর্দানশীল নারীরা যারা ছবি তুলতে রাজি নন তাদের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনভুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। 

এসময় পর্দানশীল নারী সমাজ তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন । 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংঘর্ষের তিন দিন পরও কমেনি উত্তেজনা
  • কারাফটকে বিক্ষোভের পর মুক্তি পেলেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ
  • ইবি প্রক্টরের ওপর হামলার অভিযোগে মানববন্ধন
  • শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে সরবরাহ বন্ধ
  • পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে শহরে মানববন্ধন 
  • যুবদল নেতা তৌহিদ হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন