স্বল্প মূল্যে স্টল বরাদ্দ, টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার করাসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সড়কের দুই পাশে যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যান ব্যবসায়ীরা। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহসড়ক অবরোধ করেন চৌমাথা বাজার ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ীরা। পরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় তিন যুগ ধরে বাজারের পাশে বসে ফল ব্যবসা করছেন তারা। প্রতিদিন দুই টাকা হারে খাজনা দেওয়ার সময় থেকে অদ্ধ পর্যন্ত সরকারি সব নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করছেন তারা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের যারা মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সবাই বিভিন্ন সময় বাজার আধুনিকায়নের নামে ফল ব্যবসায়ীদের সুুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজারের ভেতর স্টল নির্মাণ করে বরাদ্দ দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

চেহারা নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি

স্টল নির্মাণের পর সিটি করপোরেশন থেকে ইজারার নামে অনেক অর্থ ধার্য করা হয়েছে। যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অল্প বরাদ্ধে নির্মানকৃত স্টল যাতে তারা পেতে পারেন সে বিষয়ে প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো: টেন্ডার বাতিল করতে হবে, স্বল্প মূল্যে ফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্টল বরাদ্ধ দিতে হবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত স্টল বাদ দিয়ে তাদের (আন্দোলনরত ব্যবসায়ী) ফয়সালা দিতে হবে। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মো.

সহিদ খান, আব্দুল জলিল, মো. শহিদুজ্জামান, মো. আরমান হোসেন, রবিউল হক, আনিচুর রহমান।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল ব যবস য় দ র ব যবস য় র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।

তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।        

সম্পর্কিত নিবন্ধ