স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী
Published: 4th, February 2025 GMT
স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন স্বামী। তখন স্বামী সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেবেন। রাতেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিলনপুর গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করছিলেন তার স্ত্রী একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ ছিল না। ফলে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না তিনি। তবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় খোরশেদ নিজেই স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিক আনোয়ারের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আনোয়ারের সঙ্গে তার স্ত্রীকে বিয়ে দিয়ে দেবেন। রাতেই এলাকাবাসীদের নিয়ে তাদের বিয়ে দেন খোরশেদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ‘আনোয়ার ও খোরশেদের স্ত্রীকে নিয়ে এলাকায় বহুবার সালিস বসেছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবার খোরশেদ নিজেই তাদের ধরে ফেলেন এবং সবার সামনে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।’
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবর বলেন, ‘মেয়েটা আমার এলাকার। আমি ঘটনা শুনে আসছি। এখানে এসে জানতে পারি।’
এই বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানু রাম বর্মন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনছি, তবে যা হয়েছে ভালো হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন, স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাড়ে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো আমদানিকৃত ৭৪ গাড়ি
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনবিদেশ থেকে আমদানি করা ৭৪টি মূল্যবান গাড়ির ঠিকানা হলো রি-রোলিং মিল। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ভাঙারি হিসেবে গাড়িগুলো কেটে প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করে দিলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি সাপেক্ষে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে স্ক্র্যাপ করা গাড়িগুলো।
জানা গেছে, নিলামে অংশ নেয় চট্টগ্রামের ১৫টিরও বেশি রি-রোলিং মিল। ৫৮টি লটে ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নিলামে দর ওঠে ২৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য, ১৩ হাজার টাকা থেকেই শুরু হয়েছিল ডাক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ৭৪টি গাড়ির কাটা টুকরো বিক্রি হয়েছে। প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা।
সূত্রমতে, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই স্ক্র্যাপ করতে কাটা হয়েছিল এই ৭৪টি গাড়ি। মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বলে দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিলাম না হওয়ার কারণে বন্দর ইয়ার্ডে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। চুরি হয়ে যায় গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ বছর ধরে পড়ে ছিল আমদানি করা ১২১টি দামি গাড়ি। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকায় সেসব গাড়ির আয়ু শেষ হয়ে গেছে। অনেকগুলোর মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি অনুযায়ী, এত পুরনো গাড়ি নিলামে বিক্রির সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কাস্টমস নিলাম কমিটি ২০২২ সালে ১২১টি গাড়ি ধ্বংসের সুপারিশ করে।
বিকল্প কোনো পথ না থাকায় আমদানি করা গাড়িগুলো কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে কেজি দরে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টমস। কারণ শেডে থাকা ওই গাড়িগুলোতে বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। প্রথম দফায় ৭৪টি গাড়ি কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকি ৪৬টি গাড়িও কাটা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এজন্য এনবিআরের অনুমতি নিয়ে গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে, মূল্যবান ৭৪টি গাড়ি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করা নিয়ে বিডারদের অভিযোগের শেষ নেই। তারা বলেন, শর্তারোপের মাধ্যমে শুধুমাত্র রি-রোলিং মিলগুলোকেই উন্মুক্ত নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএইচ