এসিল্যান্ডকে চাঁদা না দেওয়ায় চালককে আটকের অভিযোগ
Published: 4th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জে এসিল্যান্ড অফিসের নামে সাপ্তাহিক চাঁদা না দেওয়ায় এক ট্রাক চালককে আটকের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ চালকরা সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে আন্দোলনের মুখে আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন বাসস্টেশন এলাকায় এক ট্রাক চালককে আটক করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
এসময় বিক্ষুব্ধ চালকরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় শতাধিক ট্রাক চালক ও শ্রমিক মাটি কেটে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এজন্য এসিল্যান্ড অফিসের নামে প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। চাঁদা না দেওয়ায় এক চালককে আটক করা হয়েছে।
চালকদের দাবি, নাজির কাম ক্যাশিয়ার মুরাদ মিয়া এই চাঁদার অর্থ সংগ্রহ করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল রহমান বলেন, আমার কার্যালয়ের কেউ যদি চাঁদা নিয়ে থাকে, তবে লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পর চালকরা অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ এস ল য ন ড অবর ধ চ লকক চ লকর
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী
কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস