তিন দিনব্যাপী ইন্টেরিয়র মেলা শুরু বৃহস্পতিবার
Published: 4th, February 2025 GMT
দেশে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী ইন্টেরিয়র ও ফার্নিচার তৈরির বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে ইনটেক এক্সপো আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা শুরু হবে, চলবে শনিবার পর্যন্ত।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেড।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলায় বিভিন্ন ধরনের ইন্টেরিয়র উপকরণ ও প্রযুক্তির সঙ্গে থাকবে সিরামিক, লাইটিং, ফার্নিচার, হোম অটোমেশন ও অন্যান্য লাইফস্টাইল পণ্য। বিশ্বের নয়টি দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ৮০টি স্টল থাকবে। মেলার পৃষ্ঠপোষকতা করছে উড টেক সলিউশন এবং মেটাল টেক সলিউশন।
উড টেক সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নইমুল হোসেন খান বলেন, প্রথমবারের মতো এ আয়োজন উডওয়ার্কিং ও ফার্নিচার সেক্টরের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা, ফার্নিচার প্রস্তুতকারী, আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও পেশাজীবী, ছাত্র-ছাত্রী এবং এই খাতের অভিজ্ঞদের মিলন মেলায় পরিণত হবে আয়োজনটি। এছাড়া যারা এসব পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে চান এবং এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িত হতে চান তারা এ প্রদর্শনী থেকে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডকোয়া) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূইঞা বলেন, ইন্টেরিয়র খাত এখন অনেক সম্ভাবনাময়। মানুষের আয় বাড়ছে, মধ্যবিত্তরাও এখন তার ঘরকে সুন্দর করে সাজাতে চায়। এছাড়াও বিদেশে ইন্টেরিয়রের বড় বাজার রয়েছে। আমরা ঠিকঠাকমতো সহযোগিতা পেলে পোশাকশিল্পের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পে পরিণত হতে পারবো। এ মেলা সে স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ছাড় ও বিভিন্ন অফার। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। দর্শনাথীদের জন্য প্রবেশমূল্য ফ্রি বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ওবায়দুলের আদর্শ হকির ম্যারাডোনা, হতে চান মেসির মতো
লিওনেল মেসিকে নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। গোটা বিশ্ব তাঁকে একনামে চেনে। তাঁর ফুটবলশৈলী কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। ফুটবলের সঙ্গে হকির তুলনা চলে না। তবে একটা জায়গায় ফুটবলের সঙ্গে হকির দারুণ মিল—দুটিই গোলের খেলা। গোলের কাজটা মেসি যেমন দারুণভাবে করেন, ওবায়দুল হোসেনও চান হকি মাঠে তেমনই কিছু করতে।
ওবায়দুল শৈশব থেকে মেসির খেলার ভক্ত। মনের ক্যানভাসে ফুটবলার হওয়ার ছবিও এঁকেছিলেন। জিনেদিন জিদান, রোনালদিনিও, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ফুটবল–তারকাদের খোঁজ রাখতেন নিয়মিতই। কিন্তু বাবার স্বপ্ন পূরণে ওবায়দুল শেষ পর্যন্ত হকির স্টিক হাতে তুলে নিয়েছেন।
২০১৬ সালে বিকেএসপিএতে ভর্তি হওয়ার পর হকি হয়ে যায় ওবায়দুলের সঙ্গী। তবে প্রথম প্রেমের মতো ফুটবলকেও ভুলতে পারেননি। হকির টার্ফেই খুঁজে বেড়ান ফুটবল। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের হকির মেসি হওয়ার, ‘মেসি আমার পছন্দের ফুটবলার। একসময় ভাবতাম তাঁর মতো হবো। কিন্তু ফুটবলে তো আর যাওয়া হলো না। বাবার জন্য হকিতে আসা। তবে ফুটবলে না গেলেও হকির মেসি হওয়ার চেষ্টাটাই করব।’
কদিন আগে এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন ওবায়দুল। বিকেএসপিতে থাকাকালে ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলে জায়গা পেয়েছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ওমানের মাসকটে জুনিয়র এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জুনিয়র হকির বিশ্বকাপে জায়গা করে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। যে ইতিহাসের অংশ ছিলেন ওবায়দুলও। পুরো টুর্নামেন্টে করেছেন পাঁচ গোল। এরপর বিজয় দিবস হকিতেও উজ্জ্বল ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। বিমানবাহিনীর হয়ে করেছেন ছয় গোল।
আরও পড়ুনপ্রথমবার হকির জাতীয় দলে আবেদ-ওবায়দুল০৬ এপ্রিল ২০২৫৬ এপ্রিল এএইচএফ কাপের মূল দলে নিজের নামটা দেখার পর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে ওবায়দুলের। যেখানে কি না তাঁর খুশি হওয়ার কথা, সেখানে বসে বসে চোখের জল ফেলেছেন। কেন? উত্তরে ওবায়দুল বললেন, ‘বাবাকে খুব মনে পড়েছিল। আজ বাবা থাকলে কত–না খুশি হতেন। হয়তো পুরো মহল্লায় ঘুরে বলতেন, “জানো, আমার ছেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে।”’
২০২৩ সালে এক দুপুরে হঠাৎই না–ফেরার দেশে পাড়ি জমান ওবায়দুলের বাবা মোহাম্মদ জুয়েল। নিজে বিভাগীয় পর্যায়ে হকি খেলেছিলেন, ছেলেকে লাল–সবুজের জার্সিতে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে পারেননি। যে শূন্যতা ওবায়দুলও বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে বাবার ইচ্ছা পূরণ করেই থামতে চান না, হকির জন্য নিজেকে নিংড়ে দিতে চান। হকির রং দিয়ে সাজাতে চান জীবনটা, ‘এখন মনে হচ্ছে বড় কিছুই করতে হবে। চেষ্টা করব দেশকে দারুণ কিছু দিতে। প্রথমবার জাতীয় দলের হয়ে খেলব। তা–ও আবার বিদেশের মাটিতে। ভাবতেই ভালো লাগছে।’
ওবায়দুল হোসেন