ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের উপর হামলা অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এম এয়াকুব আলী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

এর আগে, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারির সময় আমাদের বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের উপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যাতে পরবর্তীতে আর কেউ শিক্ষকদের উপর হামরা করার সাহস না পায়।

এদিকে, উদ্ভূত এ ঘটনার কারণ উদঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ কমিটিতে শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল কাদেরকে আহ্বায়ক এবং তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার সাহেদ হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “ঘটনাটি উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি তদন্ত রিপোর্ট মনঃপূত না হয়, প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য  উপাচার্যের নিকট আমি আবেদন করবো।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সানি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সাড়ে ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ঢাবির ভর্তিতে ‘আরবি’ জটিলতা থাকছে না

প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি

এর আগে, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের ব্যানার নামাতে বলায় সানি সরকারের ওপর হামলা করেন তারা। এতে সানি সরকারসহ বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী আহত হন।

হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘সানির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হিজবুত তাহরির নো মোর’, ‘হিজবুত তাহরিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম শিহাব বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানির ওপর হিজবুত তাহরিরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। তার ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদের ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সহকারে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি, এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাবিলা তালুকদার বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কালো পতাকা নামাতে বললে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মবের কথাই বলছে। সে যদি মারা যেত, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কী জবাব দিত?”

তিনি বলেন, “আমরা সানির ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কার্যক্রম ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

ভুক্তভোগী সানির সহপাঠী কাজী খবিরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির মব সৃষ্টির মাধ্যমে সানি সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরবর্তিতে আমরা দেখেছি একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে হেডলাইন করেছে, সানি ইসরায়েলের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমের কর্তাব্যাক্তিদের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সঠিক সংবাদ প্রচার করুন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা বাংলাদেশ থেকে হিজবুত তাহরিরের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করছি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে স্কাইলার্ক মডেল স্কুলের মানববন্ধন
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
  • জামালপুরে সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • টাঙ্গাইলে ৭ দাবিতে এ আই টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি
  • ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সানির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • এক ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ, আরও দুজন গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে পদোন্নতি বঞ্চিত ফরেস্টার ও ফরেস্ট গার্ডদের মানবন্ধন
  • শিশু তাবিবের হাতে প্ল্যাকার্ড ‘বাবা হত্যার বিচার চাই’
  • লবণের ন্যায্যমূল্য চায় এনসিপি