জনপ্রশাসন সংস্কারে থাকছে শতাধিক সুপারিশ, বুধবার প্রতিবেদন হস্তান্তর
Published: 4th, February 2025 GMT
জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য শতাধিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু, আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে কথা বলেছি। অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজকে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করব। কালকে (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাব এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করব। একই সঙ্গে কালকে আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।”
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুরস্কে আরো ৩ এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি রাশিয়ার
কুরস্কে ইউক্রেনের দখলে থাকা আরো তিনটি এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে রাশিয়া। সাত মাস ধরে ইউক্রেনের দখলে থাকা কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুরস্কের সুদজা শহরের কাছে তিনটি এলাকা রুশ বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়াকে সামলানো সহজ: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে: ইউক্রেন
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সেনাকে পিছনে পাঠাচ্ছে।
রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পোদোল্যাকা জানিয়েছেন, রুশ বিশেষ বাহিনী একটি সরু গ্যাস পাইপলাইনের ভিতর দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার অগ্রসর হয় এবং সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে চমকে দিয়ে সুদজা এলাকায় আক্রমণ চালায়।
আরেক রুশপন্থি ব্লগার টু মেজর্স জানিয়েছেন, সুদজা এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষ চলছে। সেখানে রুশ বাহিনী গ্যাস পাইপলাইনের পথ ব্যবহার করে আকস্মিকভাবে ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর আঘাত হানে।
গত বছরের আগস্টে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় এক হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়। ভবিষ্যতের আলোচনায় দর কষাকষির সুযোগ লাভের জন্য এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করার একটি প্রচেষ্টা ছিল এটি।
রাশিয়া সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিছুটা সাফল্যের সাথে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ওপেন সোর্স মানচিত্রে দেখা গেছে, দ্রুত রুশ অগ্রগতির পর কুরস্কে কিয়েভের সেনাদের প্রায় ঘিরে ফেলা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদ হয়। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সাথে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দেয়। এই সুযোগে রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনীয়দের ওপর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার ব্লগারদের রিপোর্ট বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে আলোচনায় বসার আগে কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সেনাকে সরাতে চাইছে রাশিয়া।
ঢাকা/ফিরোজ